ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : তিন দিন পার হতে চলল, কিন্তু এখনও খোঁজ নেই নানুরের নিখোঁজ তৃণমূল নেতা (TMV) শেখ বাবুলালের। শুক্রবার বিকেলে মোবাইল কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তারপর থেকেই খোঁজ মিলছে না তাঁর। সোমবার সকালে ঠিক যেখান থেকে তৃণমূল নেতা নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেখানে ড্রোন উড়িয়ে (drone surveillance) শুরু হয়েছে তল্লাশি। মাঠে নেমে কার্যত তন্নতন্ন করে সেই এলাকার তল্লাশিতে নেমেছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা।


পুলিশ (Police) সূত্রে খবর, যে এলাকা থেকে শেখ বাবুলাল নিখোঁজ হয়েছেন, সেই এলাকা ভাল করে তল্লাশি করে সূত্রের খোঁজ করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগে রবিবার নানুরের বাসাপাড়া ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়  তৃণমূল নেতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। যার পরই গতি পেয়েছে তল্লাশি অভিযান। নানুর, লাভপুর ও কীর্ণাহারের ওসিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।


শুক্রবার থেকে নিখোঁজ


শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ নানুরের সিধাইয়ের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ বাবুলাল বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নতুনহাটে গিয়ে মোবাইল কিনবেন বলে। পরিবারের দাবি, এরপর থেকেই বাবুলালের হদিশ নেই! শুক্রবার রাত ১০টায় পুলিশের ফোনে তাঁরা জানতে পারেন, সিধাই থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে বাঁশপাড়ার কাছে টিকুড়ি মোড়ে রাস্তার পাশে উদ্ধার হয়েছে বাবুলালের মোবাইল ফোন ও বাইক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল নেতার অন্তর্ধানে উৎকণ্ঠা বেড়েছে পরিবারের! যারপরই পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।


রাজনৈতিক চাপানউতোর


নিখোঁজ তৃণমূল নেতা শেখ বাবুলালের বৌদি তথা থুপসরা পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বুলু বিবির অভিযোগ, গ্রামে একটা এংশ সিপিএম আছে। এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএম যুক্ত থাকতে পারে। আমার সব কাজ দেখত বাবুলাল। ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল। তৃণমূল নেতা ও বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানও বলেছেন, পিছনে রাজনীতি আছে। গ্রামে বেশ কিছু সিপিএম কর্মী আছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা চাই দ্রুত শাস্তি পাক। 


পাল্টা অভিযোগ উড়িয়ে এই ঘটনার নেপথ্যে শাসকের কোন্দলের দিকে আঙুল তুলেছে সিপিএম। বীরভূমের সিপিএম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেছেন, 'অভিযোগ মিথ্যা কারণ এইসব এলাকায় তৃণমূলের দাপট। সিপিএম করার সাহস করা আছে? তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।'


আরও পড়ুন- বিজেপিরই পাশে মতুয়ারা? 'রাজ্য নেতৃত্ব বলবে', শান্তনু মন্তব্যে অস্বস্তি