বীরভূম: কেষ্টহীন বীরভূমে (Birbhum TMC Party Office) তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করল কংগ্রেস (Congress)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দখল তৃণমূলের পার্টি অফিস। ময়ূরেশ্বরের ঝিকোড্ডা পঞ্চায়েতে শাসক দলের পার্টি অফিস দখল কংগ্রেসের তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন ৬০০ কর্মী-সমর্থক। এর আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অন্য দলের পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ উঠেছিল। গত এপ্রিলেই কোচবিহারের (Coochbehar) শীতলকুচির গোঁসাইয়ের হাট বাজারে বিজেপি পার্টি অফিসে তালা মেরে, পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ঘাসফুলের বিরুদ্ধে।
কী ঘটেছিল কোচবিহারে?
সে বার তৃণমূলের মিছিল থেকে আওয়াজ ওঠে ধোলাই হবে, পিটাই হবে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শীতলকুচির গোঁসাইয়ের হাট বাজারে তৃণমূল কর্মীরা মিছিল করে এসে, পুলিশের সামনেই বিজেপির পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। ছেঁড়া হয় পতাকাও। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এক ব্যক্তির জমি দখল করে বিজেপি পার্টি অফিস তৈরি করা হয়েছিল। জমির মালিকই তালা ঝুলিয়ে দেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এই ঘটনার আগে থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত কোচবিহার। দিনহাটার ভেটাগুড়িতে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে দিনহাটায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। দিনহাটা থানার সামনেও চলে বিক্ষোভ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। তৃণমূলের দাবি, ঘটনার দিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন ভেটাগুড়িরই বাসিন্দা দুই তৃণমূল কর্মী অজিত বর্মন ও বিশ্বজিৎ বর্মন। অভিযোগ, তখনই নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি থেকে কয়েকজন বিজেপি কর্মী বেরিয়ে এসে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে। দু'জনেরই মাথা ফেটে যায়। প্রথমে তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ বর্মনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহারের MJN হাসপাতালে। দলের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগহেই ফের তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার। শুধু এটিই নয়। হালে সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এটি সল্টলেকের এ-ই ব্লকের ঘটনা। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের জমিতে তৃণমূলের অস্থায়ী পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ ঘিরে হইচই শুরু হয়। ‘প্রশাসনের সাহায্য়ে জমি দখল করে পার্টি অফিস, এ রাজ্যে এটাই স্বাভাবিক’, কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। 'জমি দখল করে অফিস তৈরি, দল সমর্থন করে না', মন্তব্য পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন:শেষপাতে সুস্বাদু ডেজার্ট, আম দিয়ে চটজলদি বাড়িতেই তৈরি আইসক্রিম