কলকাতা : গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) এবার সিবিআইয়ের (CBI) নজরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী ধৃত সায়গল হোসেনের সম্পত্তি। এদিন বোলপুরের একটি আবাসনে সায়গলের ফ্ল্যাটে হানা দেন সিবিআই অফিসাররা। সিবিআইয়ের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও বীরভূমের বোলপুর ও সিউড়িতে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সায়গলের। পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করে কী করে এত সম্পত্তির অধিকারী হলেন সায়গল, তা নিয়েই প্রশ্ন সিবিআইয়ের। 


সিবিআই সূত্রে খবর, এই বিপুল সম্পত্তি বেনামেও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কাদের নামে সম্পত্তি রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হবে। সিবিআইয়ের নজরে সায়গল ঘনিষ্ঠরাও। সায়গলের ফ্ল্যাটে প্রায় দুই ঘণ্টা তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। 


সিবিআইয়ের নজরে সায়গলের সম্পত্তি-


গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে বেশ কিছুদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে সায়গল। এর আগে একাধিকবার তাঁকে জেরা করেন সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর দেহরক্ষী এবং ছায়াসঙ্গী সায়গলের কলরেকর্ডও খতিয়ে দেখা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের বেশ কিছু সম্পত্তি সায়গলের কাছে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


আরও পড়ুন ; কনস্টেবল থেকে অনুব্রতর দেহরক্ষী, 'কেষ্ট'-র হাত মাথায় পড়তেই রকেটগতিতে উত্থান! কে এই সায়গল?


মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা সায়গলের বেশ কিছু বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ। এক জন দেহরক্ষীর কীভাবে এতগুলো বাড়ি হতে পারে তা জানতে এর আগে ডোমকলে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সকাল থেকে রাত অবধি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়।


রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত সায়গল হোসেনের বাড়ি ডোমকল পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর বাবাও পুলিশের SI হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন সায়গল। কিন্তু অনুব্রতর রক্ষী নিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁর অবস্থা বদলাতে শুরু করে। 


সায়গলের স্ত্রী প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান। আত্মীয়দের নামেও সায়গলের একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআই সূত্রের দাবি, অনুব্রত কোথায় যেতেন, কাদের সঙ্গে দেখা করতেন, সেখানে কী কথা হত, তা নিয়ে সায়গলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।