কলকাতা: গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে এবার নতুন মোড়। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী এবং ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। বৃহস্পতিবার প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী
গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে বেশ কিছুদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন সায়গল। এর আগে দু'বার তাঁকে জেরা করেন সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর দেহরক্ষী এবং ছায়াসঙ্গী সায়গলের কলরেকর্ডও খতিয়ে দেখা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের বেশ কিছু সম্পত্তি সায়গলের কাছে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা সায়গলের বেশ কিছু বেনামি সম্পত্তিও রয়েছে বলে অভিযোগ। এক জন দেহরক্ষীর কী ভাবে এতগুলো বাড়ি হতে পারে তা জানতে ডোমকলে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সকাল থেকে রাত অবধি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
আরও পড়ুন: Cattle Smuggling Case: পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা, গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল
রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত সায়গল হোসেনের বাড়ি ডোমকল পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর বাবাও পুলিশের SI হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন সায়গল।
কিন্তু অনুব্রতর রক্ষী নিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁর অবস্থা বদলাতে শুরু করে। সায়গলের স্ত্রী প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান। আত্মীয়দের নামেও সায়গলের একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআই সূত্রের দাবি, অনুব্রত কোথায় যেতেন, কাদের সঙ্গে দেখা করতেন, সেখানে কী কথা হত, তা নিয়ে সায়গলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।
অনুব্রত মাথায় হাত রাখাতেই উন্নতি!
এ বছর ২৭ এপ্রিল বীরভূমের ইলামবাজারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি গাড়ি। তাতে সায়গল হোসেনের শিশুকন্যা এবং তাঁর এক বন্ধুর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই গাড়ির পিছনের গাড়িতেই ছিলেন সায়গল। এ বার সেই সায়গলকেই গ্রেফতার করল সিবিআই।