প্রকাশ সিনহা, বীরভূম: বীরভূম (birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (anubrata mondal) ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল দুবরাজপুর আদালত (Dubrajpur Court)। তৃণমূল (TMC) কর্মীকে মারধর, খুনের চেষ্টার মামলায় পুলিশ হেফাজত (police custody) হয়েছে। একবছর আগে মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। গতকাল মামলা দায়ের হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে গতকাল মামলা দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী। এদিন অবশ্য জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রত। পরে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় দুবরাজপুর কোর্ট।
কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, শিবঠাকুর মণ্ডলকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন অনুব্রত। তিনি দল ছেড়ে যাচ্ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে দলীয় দফতরে ডেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে দুবরাজপুর থানায় একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার জেরেই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চাওয়া হয় আসানসোল জেল থেকে। সেই মতো আজ আসানসোল থেকে দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। পুলিশের তরফে চোদ্দো দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের অনুমতি দেয় কোর্ট। গোটা ঘটনাটি হঠাৎ ঘটায় তাঁর তরফে কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। এমনকি শুনানি চলাকালীন তাঁর তরফে কোনও আইনজীবীও ছিলেন না কোর্ট চত্বরে। পরে তদন্তকারী অফিসারকে ডেকে নিয়ে জানতে চান কেন, পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে অনুব্রতকে। তখনই জানানো হয়, যে অভিযোগ জমা পড়েছে তার সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতেই হেফাজত চাইছেন তাঁরা। শুনানি শেষ হলে কোর্ট লক আপে নিয়ে আসা হয় বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতিকে।
গরুপাচার প্রসঙ্গে...
এদিকে গরুপাচার মামলায় রাজ্য় ছেড়ে এবার ভিনরাজ্য়ের পথে যেতে হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে। ধোপে টিকল না সওয়াল। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পেল ED। দিল্লির আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন অনুব্রত। তাঁর নামে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছে দিল্লির আদালত। বর্তমানে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের জারি করা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট সেখানেই জমা দেবে ইডি। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করা হবে। তবে চাইলে, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টেও আবেদন করতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে একইভাবে দিল্লিতে আনা হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। সেক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের (রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট) রায় বহাল থাকে।
আরও পড়ুন:'বাঘ তো খাঁচাতেই থাকবে, নচেৎ জঙ্গলে', অনুব্রতকে খোঁচা সুজনের