প্রকাশ সিনহা, নয়াদিল্লি  : গরু পাচার মামলায় গতকাল অনুব্রত মণ্ডলকে ( Anubrata Mondal ) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ( ED )। ইডি সূত্রে খবর, বীরভূমের ( Birbhum ) তৃণমূল জেলা সভাপতিকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় তারা। এর জন্য আজ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানাতে পারে ইডি। সূত্রের খবর, ইডি আবেদনে বলতে পারে,  অনুব্রতকে দিল্লি আনার বিষয়ে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিক রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। এর আগে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ( Saigal Hossain )জেল থেকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লিতে। 


সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জেরা


গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রত মণ্ডলকে জেল থেকেই গ্রেফতার দেখাল ইডি। গ্রেফতারের আগে, আসানসোল জেলে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যই কি এখন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ED’র প্রধান হাতিয়ার? সম্প্রতি দিল্লিতে অনুব্রত’র মেয়ে ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে ED। এরইমধ্যে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের লটারি প্রাপ্তি নিয়েও নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।


 ৪ পাতার প্রশ্নপত্র

বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলে গিয়ে জেরা করতে শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।  ইডি সূত্রে খবর,  অনুব্রতকে জেরার জন্য ৪ পাতার প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। বেশিরভাগ প্রশ্নই ছিল মূলত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত। যেমন - তাঁর নামে যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার উৎস কী? অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা জমা পড়ল কোথা থেকে? এর সঙ্গে কি গরু পাচারের টাকার কোনও যোগ আছে?  ইডি সূত্রে দাবি, এদিনের জেরার উদ্দেশ্য ছিল গরু পাচারের টাকা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে এসেছে কি না এবং সেই টাকায় বেনামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে কি না, সেবিষয়ে তথ্য জোগাড় করা।  ED-র আরও দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারি তাঁদের জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে যা নথি আসত, তিনি শুধুমাত্র অডিট করে দিতেন। কিন্তু ED সূত্রে দাবি, দিন জেরায় অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তিনি কিছু জানেন না। যা বলার বলতে পারবেন মণীশ। আর তখনই ED’র মনে হয়, অনুব্রত মণ্ডল তথ্য গোপন করতে চাইছেন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।