প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ইডির (ED Chargesheet) চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির উল্লেখ রয়েছে, খবর সূত্রের। সায়গলের মোবাইলে আসা একাধিক ফোন কলের রেকর্ড নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন তিনি, এমনই শোনা যাচ্ছে। গরুপাচারকারীরা তাঁর ফোনের মাধ্যমেই কথা বলতে অনুব্রতর সঙ্গে, স্বীকার করেছেন সায়গল, বলছে সূত্র। এমনকি একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, নেতা, পুলিশ অফিসাররাও অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকেই ফোন করতেন, দাবি সায়গলের। চার্জশিটে সায়গল ও গরু পাচারকারীদের সঙ্গে কথোপকথনের কল রেকর্ডও জমা দেওয়া হয়েছে, খবর সূত্রের।



আর যা...
গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা বিএসএফের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় সরকারের আরেকটি সংস্থা ইডি।বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার করা হত, দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির চার্জশিটে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ইডি দাবি করেছে, গরুবোঝাই ট্রাকগুলিকে একটি টোকেন দেওয়া হত। একটি সিন্ডিকেট ছিল, যারা এই টোকেন দিত। কোথাও ট্রাক আটকালে, সেই টোকেন দেখালেই সীমান্তে যাওয়ার সবুজ সংকেত মিলত। সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, রাত ১১টা থেকে ৩টের এই ৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশে গরুপাচার হত। আর এতে প্রত্যক্ষ মদত বিএসএফের একাংশ।এরজন্য মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছত বিএসএফের একাংশের কাছে। মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বেশ কয়েকটি জায়গা ঠিক করা ছিল। যেখান দিয়ে নদী পথে বাংলাদেশে গরু পাচার হত। এই মর্মে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে আগে থেকেই কথা হয়ে থাকত এনামুল হকের। এদিকে আগেই গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। তিহাড় জেলেই ঠাঁই হয়েছে তাঁর। সেখানে মহিলাদের কুঠুরিতে রাখা হয়েছে তাঁকে। এর আগে, বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন সুকন্যা। কথা বলতে চেয়েছিলেন অসুস্থ বান্ধবীর সঙ্গে। মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন জানান অনুব্রতও। বৃহস্পতিবার তাতে অনুমোদন মেলে। তবে তদন্তকারীদের দাবি, আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল ছিলেন সুকন্যা। আর্থিক লেনদেনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন অনুব্রত-কন্যা। ইডি-র দাবি, তদন্তে দেড়শো-দু’শো ব্যাঙ্কে নগদ জমার রসিদ মেলে। টাকার অঙ্ক ছিল ১০ কোটির বেশি, যা নগদে জমা পড়েছে। ইডি-র দাবি, অনুব্রতর পরিচারক, রাঁধুনি, সুকন্যার গাড়ি চালকরা বিভিন্ন সময়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা জমা করেছেন। কে টাকা পাঠিয়েছেন জানতে চাইলে, তাঁরাই সুকন্যার নাম নেন। ইডি সূত্রের খবর, তথ্যপ্রমাণ দেখালেও সুকন্য়া জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। বার বার দাবি করেন, সব জানেন বাবা আর তাঁদের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি। ইডি-র দাবি, সুকন্যার দাবি যে ঠিক নয়, তা জানান অনুব্রত-ঘনিষ্ঠরাই। 


আরও পড়ুন:অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পর তা যেন আর ফিরে না আসে, নিজের খেয়াল রাখুন নিয়ম মেনে