রামপুরহাট: তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের পরই অগ্নিগর্ভ রামপুরহাটের বকটুই গ্রাম।অন্তত ১০টি বাড়িতে আগুন। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। এদিকে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, ২ শিশু ও ৬ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পর ফিরহাদ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের ৩ জনের প্রতিনিধিদল হেলিকপ্টার করে রামপুরহাটে পৌঁছয়। 


কী জানিয়েছে ফিরহাদ? 


তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম রামপুরহাটে পৌঁছে বলেন, "এখন হাসপাতালে যাব। তারপর গ্রামে যাব। আমি এখনই এলাম। সকলকে ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞেস করব। আমি তো জ্যোতিষী নই যে সব জেনে এসেছি। লোকাল এনকোয়ারি করি। কী হয়েছে, সত্যটি কী, তা আগে জানতে হবে। ইতিমধ্যেই সিট তৈরি করা হয়েছে। বড় বড় অফিসাররাও চলে এসেছেন। তদন্ত হোক আগে।"                                       


আরও পড়ুন, 'বাংলায় সন্ত্রাসের সংস্কৃতি চলছে', মন্তব্য ধনকড়ের, রামপুরহাট নিয়ে রিপোর্ট তলব


এদিকে, বীরভূমের রামপুরহাট আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে।  হাসপাতাল সূত্রে দাবি, মৃত ৯ জনের মধ্যে রয়েছে ২ শিশু, ৬ মহিলা ও এক পুরুষ। গতকাল রাতেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মধ্যে এক মহিলার রাতেই মৃত্যু হয়। বাকিদের দফায় দফায় আনা হয় হাসপাতালে। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এখনও চার জন চিকিত্‍সাধীন বলে হাসপাতাল সূত্রে দাবি।                  


এমনকী, বীরভূমের রামপুরহাটে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।  মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, কীভাবে ঘটনা ঘটল, স্থানীয় প্রশাসনের কতটা তত্‍পরতা ছিল, এ সব নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।