এরশাদ আলম, বীরভূম: চোর ধরো জেল ভরো এই স্লোগান তুলে সিউড়িতে (Siuri) বীরভূম (Birbhum) জেলা বামফ্রন্টের (CPIM) মহা মিছিল। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা-নেত্রীদের কঠোর শাস্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এই মিছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অনাবৃষ্টির ফলে চাষিদের যা ক্ষতি হয়েছে তার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে জেলা প্রশাসনকে, ও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতে হবে, এই দাবিতে এদিন সিউড়িতে বিশাল মিছিল করল বীরভূম জেলা বামফ্রন্ট। এই মিছিল সিউড়ি চাঁদমারি ময়দান থেকে শুরু করে গেটা শহর প্রদক্ষিণ করে। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ, বীরভূম জেলা ফরওয়ার্ড ব্লকের সম্পাদক দীপক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, ''চোর ধরো, জেল ভরো'' স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় সভার ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। কিছুদিন আগেই বর্ধমানের সভা মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেছেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মূলত, দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করতেই এই ঝাঁঝালো আক্রমণের পথে নামছে বাম যুব সংগঠন।
তিনি জানান, ওই সভা থেকে দুর্নীতির প্রতিবাদের পাশাপাশি কাজের দাবিতে সরব হবে বাম যুবরা। পাশপাশি আনিশ খানের খুনিদের শাস্তির দাবিতে সরব হবেন যুবনেত্রী। এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, তাঁদের সভার পারমিশন দেওয়া না হলে, অনুমতি ছাড়াঅ সভা করবে যুবরা। এমনকী মঞ্চ বাঁধতে না দিলে মঞ্চ ছাড়াই সভা হবে। মাইক বাঁধার ছাড়পত্র না পেলে কাঁধে মাইক নিয়েই চলবে সভা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে মীনাক্ষী বলেছিলেন, ''পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাঠি নিয়ে এলে আমিও শুধু ঝাণ্ডা নিয়ে নয়,ডাণ্ডা নিয়ে যাব, সমানে-সমানে লড়াই হবে।'' এখানেই থামেনি বাম যুব নেত্রীর বাক্যবান। পাশাপাশি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ''সব পুলিশকে সাবধান করছি, তৃণমূলের দালালি করে ভুলেও কমরেডদের গায়ে হাত দেবেন না। ছেলে ছোকরাদের রক্ত গরম থাকে, কী হবে তার দায় আমরা নেব না। '' ডিওয়াইএফআই এর পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে বর্ধমান স্টেশন চত্ত্বর থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত্ মিছিল হয়। সেই মিছিল শেষে কার্জন গেটে পথসভা করেন রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।