বোলপুর: বিল্ডিং প্ল্যান পাস করাতে গেলে লাগে অনুদান। বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। গোটা চক্রের মাথা অনুব্রত মণ্ডল, অভিযোগ মামলাকারীর। বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ। মামলাকারীর অভিযোগ, পুরসভার বিল ছাপিয়ে টাকা নেওয়া হত। কাটমানি না পেলে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানো হত না। অভিযোগ মামলাকারীর। সব হিসাব পুরসভার খাতায় আছে, বেআইনিভাবে কিছু নেওয়া হয়নি, গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়, দাবি বোলপুর পুরসভার। অনুদান নেওয়া বেআইনি নয়, পুরসভা অনুদান নিয়ে থাকে, এর সংস্থান থাকে বাজেটে। এতে বেআইনি কী আছে? প্রশ্ন রাজ্যের। 


অন্যদিকে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন তৃণমূল নেতা ও এলাকা বাসীদের একাংশ। সোমবার সন্ধেতে শাসক দলের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায় বীরভূমের মুরারই থানার রাজগ্রাম ডি সি আর ক্যাম্পে।


অভিযোগ, রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে যে সব গাড়িতে পাথর আসে সেখান থেকে রয়্যালটি বাবদ কুপনের মাধ্যমে টাকা নেন ভূমি দফতরের কর্মীরা। তার জন্য রাজগ্রামে একটি ক্যাম্পও রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। 


অভিযোগ, পাথরের ওজনের উপর সরকারি নির্ধারিত মূল্যে চেয়ে কম  মাল দেখিয়ে বেআইনিভাবে বেশি টাকা নিয়ে পাথর ভর্তি লরি পাশ করানো হচ্ছে। বিশেষ করে  সন্ধে নামলেই ভূমি দফতরের সরকারি কর্মীদের দুর্নীতি বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। কম রয়্যালটির জন্য দিনের বেলা পাথরের গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এর ফলে সার দিয়ে দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে।


এর জেরে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। সন্ধে নামতেই এক এক করে পাথরে গাড়ি বেশি পাথর নিয়ে সরকারি মূল্যে কম পাথর দেখিয়ে তার রয়্যালটির সঙ্গে কিছু বাড়তি টাকা দিয়ে বেড়িয়ে যায়। অভিযোগ সেই বাড়তি টাকা ঢুকছে সরকারি কর্মীদের পকেটে। বিষয়টি নজরে আসতেই পাথর অ্যাসোসিয়েশন ও স্থানীয়দের একাংশ সেই সরকারি ডিসিআর ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।


সেখানে নেতৃত্ব দেয় বীরভূম জেলা পরিষদের কর্মধ্যাক্ষ আসগার আলী। তাঁর অভিযোগ, 'ক্যাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমরা ১৫ লক্ষ টাকা দিতে চাইলেও আমাদের দেওয়া হয়নি। কিন্তু সরকারি কর্মচারীরা প্রতিদিন চার লক্ষ টাকা দিয়ে বাকি টাকা চুরি করছে'। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যাম্পে থাকা  ভূমি দফতরের কর্মীরা।