বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের সাঁইথিয়া (Saithia) থেকে শতাধিক বোমা উদ্ধার। উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড কার্তুজ। সাঁইথিয়া থানার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশি অভিযানে বোমা উদ্ধার। ২ কেজি বোমার মশলাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাঁইথিয়ার বাতাসপুর স্টেশনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র সহ একজন গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে দুটি মাসকেট এবং দুটি ওয়ান শর্টার। এদিকে, সদাইপুরেও উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড কার্তুজ। সদাইপুরেই এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়। ২ জনকেই গ্রেফতার করেছে সদাইপুর থানার পুলিশ।
অস্ত্র উদ্ধার আগেও...
বীরভূমে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। আগেও একাধিক বার এই জেলা থেকে বোমা-বারুদ উদ্ধার হয়েছে। গত বছর জুলাই মাসে যেমন তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি দেশি পিস্তল, একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ছয় রাউন্ড কার্তুজ ও একটি মোটর বাইক উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মিঠুন শেখ ও জহির শেখ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতেরা অস্ত্রগুলি বিক্রির উদ্দেশ্যে বোলপুরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তার আগে, গত ১০ মে-ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বীরভূম থেকে। সে বার বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৪ রাউন্ড কার্তুজ-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ধৃত ওই দুই ব্যক্তির বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। নাম ফুলবাবু এবং মিলন খান। ধৃতদের কাছ থেকে একটি কারবাইন, একটি নাইন এমএম, একটি ৭ এমএম এবং একটি ওয়ান শটার ও ৩৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয় বলে খবর। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছিলেন, ২৭ এপ্রিল কীর্ণাহার থানা এলাকা থেকে দুই দুষ্কৃতীকে ৫৭ রাউন্ড কার্তুজ সহ ধরা হয়েছিল। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দুই ব্যক্তির নাম উঠে আসে। পুলিশ সুপার বলেন, 'আমরা খবর পেয়েছিলাম তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বীরভূমের নানুর থেকে বর্ধমানের মঙ্গলকোটে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।' এরপর নানুর এবং কীর্ণাহার থানার পুলিশ এই দুজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। তারা বাইকে করে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি নিয়ে যাচ্ছিল। নানুর থানার পালিতপুর থেকে এই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে কচুজোড় সংলগ্ন একটি সেতুর কাছে দুষ্কর্মের উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া তিনজন দুষ্কৃতীকে অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। দুষ্কৃতী দলে সাত-আটজন ছিল। তাদের মধ্যে শেখ বদরুজ্জামান, শেখ মেহের ও রিফাজুল ইসলাম, এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।ধৃতদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার দেশি বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ভোজালি, রড উদ্ধার করে পুলিশ।
সেই তালিকাতেই এবার নয়া সংযোজন।
আরও পড়ুন:রাতের শহরে 'Hit and Run', খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৭