গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: গোটা বছর এই কালীপুজোরই অপেক্ষায় থাকে বীরভূমের মুরারইয়ের জাজিগ্রাম। এখানে সাধারণ মানুষ অন্যান্য পুজোতে এত আনন্দ করেন না, যতটা কালীপুজোতে মেতে ওঠেন। যেখানে বীরভূম শেষ হয়ে মুর্শিদাবাদ শুরু হয়েছে, সেখানেই বৃদ্ধামাতা, ইচ্ছাময়ী কালীর পুজো হয়। ওই গ্রামে প্রায় শতাধিক পুজো হয়। প্রত্যেক বাড়িতে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও বাড়িতে আবার একাধিক পুজো হয়। শুধু কি পুজো? তিন ধরে মেলাও চলে। এই কারণে এই গ্রাম 'মেলা তলা' নামেও পরিচিত।


পুজোর পরের দিন জাজিগ্রামের সমস্ত ঠাকুর পার্শবর্তী হিড়লা গ্রামজুড়ে পরিক্রমা করানো হয়। এরপর প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। অন্যদিকে হিড়লা গ্রামের ঠাকুর জাজিগ্রামের বৃদ্ধামাতা প্রদক্ষিণ করে বিসর্জন করা হত। বিভিন্ন জেলার মানুষজন এই বিসর্জন দেখতে জাজিগ্রামে ভিড় জমাতেন। 


আরও পড়ুন: Kali Puja Nalateswari : কালীপুজোর পুণ্যতিথিতে জানুন বীরভূমের নলাটেশ্বরী সতীপীঠ নিয়ে ১০ টি তথ্য


জাজিগ্রামে বেশ কয়েকটি প্ৰাচীন পুজোর মধ্যে ইচ্ছাময়ী কালী, নিত্যকালী, দিগম্বরী কালী, বৃদ্ধাকালী অন্যতম। গ্রামবাসীরা জানান, ওই অঞ্চলে শতাধিক কালী মূর্তির পুজো হয়। কালীপুজোর দিন বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে। খুব ধুমধাম করে পুজো হয় ওই অঞ্চলে। এখানে সকলেই মনস্কামনা পূরণের জন্য আসেন। এখানে ইচ্ছাময়ী, বৃদ্ধমাতার তন্ত্র সাধনা মতে পুজো হয়। বিশ্বনাথ মজুমদার বলেন, 'বৃদ্ধামাতা কালী প্রায় দু'শো বছরের পুরনো। অনেক দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। তাঁরা সারারাত ধরে জেগে থাকেন। অনেকে মানতও করেন। এখানে ছাগ বলি করা হয়।' তাপস মুখোপাধ্যায়ের কথায়, 'আমাদের কালীর নাম ইচ্ছাময়ী কালী। প্রায় আড়াইশো বছর আগের এই পুজো। মা সকলের ইচ্ছা পূরণ করেন তাই এই মায়ের নাম ইচ্ছাময়ী। ছাগ বলি দিয়ে মায়ের ভোগ হয়।'


আরও পড়ুন: Kali Puja 2021: অমাবস্যা পড়তেই পুজো শুরু হল সিঙ্গুরের ডাকাত কালী মন্দিরে, মানা হচ্ছে করোনা বিধিনিষেধ