১. ৫১ পীঠের অন্যতম বীরভূমের (Birbhum ) নলহাটির (Nalhati) নলাটেশ্বরী মন্দির। কথিত আছে, এখানে সতীর গলার নলি পড়েছিল। নলাটেশ্বরী থেকেই এলাকার নাম নলহাটি।


২. নলহাটির মাঝে রয়েছে ছোট্ট জঙ্গলাবৃত অনুচ্চ এক টিলা। তারই এক প্রান্তে দেবী নলাটেশ্বরীর অধিষ্ঠান।


৩. বহু সাধকের সাধনার সাক্ষী জঙ্গল ঘেরা এই পাহাড়। এক সময়ে এখানে, সাধারণ মানুষের তেমন আনাগোনা ছিল না। কেবলমাত্র যাতায়াত ছিল বীরাচারী তান্ত্রিকদের। আসতেন কাপালিকরাও।


৪. কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে স্মরনাথ শর্মা নামে এক সাধক, স্বপ্নে দেবী নলাটেশ্বরীর দেখা পেয়ে জানতে পারেন, এখানেই সতীর খণ্ডিত দেহাংশ, শিলারূপে অবস্থান করছে। তারপর সাধক স্মরনাথই এই জায়গা আবিষ্কার করে দেবীর নিত্যপুজার ব্যবস্থা ও মাহাত্ম্য প্রচার করেন। 


৫. অনেকে বলেন, ২৫২ বঙ্গাব্দে ব্রহ্মচারী কামদেব স্বপ্নাদেশে কাশী থেকে এসে এই পীঠস্থানটি আবিষ্কার করেন। 


 ৬. মূল মন্দিরে শীলারূপী মা নলাটেশ্বরী। অনেকে বলেন, সাধক স্মরনাথ শর্মা, এর আবিষ্কার করলেও পরে নাটোরের রানি ভবানী এই মন্দির তৈরি করেন।


৭. মূল মন্দিরের ডান পাশে রয়েছে সিদ্ধিদাতা গণেশের মন্দির। জনশ্রুতি, কোনও এক ভৈরবী, এই জায়গাটি আবিষ্কার করেন। এখানে গণেশও পাহাড়ে গায়ে শিলারূপে অধিষ্ঠিত।

৮. দিনের আলো ফোটার আগেই মূল মন্দিরে দেবীর মহাস্নান সম্পন্ন হয়। তারপর মঙ্গলারতি করে দিনের শুরু। তখন থেকেই ভক্তদের জন্য খুলে যায় মন্দিরের দরজা। 


৯ . কথিত আছে, ভৈরব মন্দির স্থাপনের সময়, মাটির নীচ থেকে উঠে এসেছিল শ্রীবিষ্ণুর পদচিহ্ন আঁকা শিলাখণ্ড! আজও দেবী ও ভৈরবের আগে প্রতিদিন এই শিলাখণ্ডের পুজো হয়। তাই এই পীঠস্থানে শাক্ত ভাবধারার পাশাপাশি এসে মিশেছে বৈষ্ণব ভাবধারারও।  


১০. কালীপুজোর সকালে মঙ্গলারতি হয়। এরপর শুরু হয় নিত্যপুজো। রাতে ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে মায়ের বিশেষ আরতি হয়


আরও পড়ুন :


কালীপুজোর পুণ্যতিথিতে শক্তিপীঠ তারাপীঠ নিয়ে এই ১০টি তথ্য