গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: সতীপীঠের ৫১ পীঠ কঙ্কালীতলা মন্দির, মহাকালীরূপে পূজিতা হন কঙ্কালীতলা মন্দিরের দেবী কঙ্কালী । কৃষ্ণা অমাবস্যার রাতে কঙ্কালীতলায় কালীরূপে পুজো হয় দেবী কঙ্কালীর। আর এই পুজো কে ঘিরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় মন্দির চত্বরে ।
বীরভূম জেলার সতীপীঠের অন্যতম ৫১ পীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলা মন্দির , বছরে ৩৬৫ দিনই দেবী পূজিত হন । কঙ্কালীতলা মন্দিরে কালী পুজোর দিন মহাকালী রূপে পূজিত হন দেবী কঙ্কালী । রীতি মেনেই শুরু হয় সকাল থেকে পুজো , আর এই পূজাকে ঘিরে বহু মানুষের সমাগম হয় কঙ্কালীতলা মন্দিরে ।
কথিত আছে, কঙ্কালীতলায় সতীর কাঁখ অর্থাত্ কোমর পড়েছিল। সেই থেকেই এই তীর্থের নাম কঙ্কালীতলা। আবার আরেকটি মত অনুযায়ী, দক্ষযজ্ঞের পর সেখানে দেবী পার্বতীর কঙ্কাল পড়েছিল, সেই থেকেই এই নামকরণ।
এই শক্তিপীঠের দেবী গর্ভাদেবী নামে প্রসিদ্ধ ও ভৈরব রুরু নামে পূজিত হয়। দেবীর মন্দির সংলগ্ন একটি কুণ্ড রয়েছে। যাকে ঘি্রে বহু কিংবদন্তি। কুণ্ডের মধ্যে কয়েকটি প্রস্থর খণ্ড আছে, যেগুলিকে সাধকরা দেবীর দেহের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই প্রস্থর খণ্ডগুলি কুণ্ড জলে শুকিয়ে যাওয়ার পর তোলা হয়, পরে পূজার পর সেগুলিকে পুনরায় কুন্ডের জলে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। কথিত আছে, কঙ্কালীতলার কুণ্ডের সঙ্গে কাশীর মণিকর্ণিকা ঘাটের সরাসরি সংযোগ আছে। কঙ্কালীতলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা রকম অলৌকিক ঘটনা।
এবছরও বরাবরের মতো প্রথা মেনে দুর্গাপুজোর পর ত্রয়োদশী তিথিতে বীরভূমের কঙ্কালীতলায় কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। ৫১ পীঠের এক পীঠে হল ৫১ কুমারীর পুজো।
মন্দিরের সামনে প্রাচীন বটগাছের নীচে আয়োজন করা হয় কুমারী পুজোর। ৫১ পীঠের শেষ পীঠ হিসাবে পরিচিত বীরভূমের কঙ্কালীতলা। দেবী দুর্গার শরীরের ৫১ খণ্ডকে ৫১ কুমারীর মধ্যে দিয়ে একত্রিত করে মাতৃমূর্তির রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
পুজো দেখতে সকাল থেকে অসংখ্য পূণ্যার্থী ভিড় করেন কঙ্কালীতলায়।