গোপাল চট্টোপাধ্যায়, সিউড়ি: ছেলের অত্যাচারে থানার দ্বারস্থ বাবা-মা। ঘটনা বীরভূমের সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দনপুর গ্রামের। এক বৃদ্ধ দম্পতির অভিযোগ, তার ছোট ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।


ওই বৃদ্ধ দম্পতি সাবিত্রী অঙ্কুর এবং ফনেস অঙ্কুর শুক্রবার সিউড়ি থানার দ্বারস্থ হন। তাঁদের অভিযোগ গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের ছোট ছেলে কাজল অংকুর বাড়িতে হাজির হন। তারপর তিনি ৬০ টাকা লোন নেবেন বলে জানান। ওই লোন তিনি নিতে চান তার বাবা-মায়ের নামে। কিন্তু লোনের কথা শুনে বেঁকে বসেন বাবা। অভিযোগ, বাবা মা রাজি না হওয়ায় বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করা হয়। বাঁশের আঘাতে মাথা ফাটে বৃদ্ধের।  এই ঘটনার পর আজ তাঁরা সিউড়ি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশের তরফ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।


আরও পড়ুন: East Burdwan: করোনা সংক্রমণ রোধে বর্ধমান শহরে ফের কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা জেলা প্রশাসনের


এদিকে, মত্ত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। খুনে ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে। মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা। চাষবাসের কাজ করতেন। পরিবারের দাবি, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুঞ্জয় ও তাঁর ছেলে উদয়ের(২৮) মধ্যে প্রায়ই গণ্ডগোল হত। 


ছেলে উদয় মাঝে মাঝে কাজ করলেও বেশীরভাগ সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতেন। মৃত্যুঞ্জয়‌ও মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করতেন। সেই কারণে স্ত্রী পাশের বাড়িতে থাকতেন। গতকাল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বচসায় জড়ান বাবা ও ছেলে। গতকাল রাত ৮ টা নাগাদ বাবা ছেলে দুজনেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন উদয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে বাবার ওপর চড়াও হয়ে কোপাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর ৪৮-এর ওই ব্যক্তির। এরপর রক্তমাখা কুড়ুল হাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত ছেলে। বাবাকে খুনের অভিযোগে রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশ। উদয়নারায়ণপুরের থানার পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: Malda : 'সাতসকালে এত অলঙ্কার পরে কেন বেরিয়েছেন ?', পুলিশ পরিচয়ে বৃদ্ধার গয়না লুঠের অভিযোগ মালদায়