আবীর ইসলাম, বীরভূমঃ 'আমিও চুরিও করিনি, ডাকাতিও করিনি', সিবিআই (CBI) তলব নিয়ে সাফাই অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mandal)। গরুপাচার মামলা (Cattle Scam) যে পিছু ছাড়ছে না। যদিও শুধু গরুপাচার মামলাই নয়, রয়েছে মাথার উপরে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলাও (Post Poll Violence)। এদিকে সিবিআই দফতরে গেলেই বুকে হাত দিয়ে বেরিয়ে আসছেন কেষ্ট। একের পর এক সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে গেলেও, এদিন গরুপাচার মামলা ইস্যুতে, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বললেন, 'আমিও চুরিও করিনি, ডাকাতিও করিনি। সিবিআই ডাকলে আবার যাব।'
আরও পড়ুন, আচমকাই কালো ধোঁয়া, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা শিয়ালদহ-নিউ আলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেসের
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একুশের বিধানসভার (WB Assembly Election 2021) আগের থেকেই একের পর এক মামলায় চাপের মুখে রাজ্যের শাসকদল (TMC)। নারদ মামলা থেকে শুরু করে সারদা, কয়লাপাচার, আইকোর, গরুপাচার, ভোট পরবর্তী হিংসা, বগটুই হিংসা, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-সহ আরও একাধিক মামলায় রাজ্যের শাসকদলের নাম জড়িয়েছে। রাজ্যের তরফে প্রথমে সিট গঠন হলেও, পরে একাধিক মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের। তবে এদের মধ্যে জোড়া মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। আর দুটি মামলাই দেখছে সিবিআই।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই গরু পাচার মামলায় নাম প্রকাশ্যে আসে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। আর ভোট শেষ হতেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও নাম জড়ায় কেষ্ট-র। এহেন জোড়া মামলার ধকল যে রীতিমত চাপের, তা বারবার সিবিআই দফতরে তলবের পর বাইরে বেরোতেই অনুব্রতকে বুক হাত দিয়ে বেরোতে দেখা গিয়েছে। তলবের আগে এবং হাজিরার পরে একাধিকবার এসএসকেম-এ ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মন্ডলকে। এদিকে এই মুহূর্তে আচমকা যদিওবা সিবিআই কোনও মামলায় হেভিওয়েট কাউকে তলব করে, তাহলে সেই মুহূর্তেই আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যাবে না বলে পার্থ-র এসএসসি কাণ্ডের সময়েই স্পষ্ট জানিয়েছে হাইকোর্ট। তাই সব মিলিয়েই চাপ বেড়েছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডল বললেন 'আমিও চুরিও করিনি, ডাকাতিও করিনি। সিবিআই ডাকলে আবার যাব।'