ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) আগে জোরকদমে চলছে রাজনৈতিক প্রচার। ইতিমধ্য়েই জেলায় জেলায় চলছে দেওয়াল লিখন (Wall Campaign)। তবে এবার সেখানেও নিশানা একে অপরকে। বঙ্গ রাজনীতিতে বহু আগে থেকেই প্রসিদ্ধ কবিতা কটাক্ষ। ছন্দ মিলিয়ে প্রশংসা হোক, কিংবা বিরোধীদের তুলোধনা করতে ওস্তাদ প্রায় প্রত্যেকেই। এবার তারই একটি নিদর্শন দেখা গেল বীরভূমে। 'তিহাড়ে বসেই খেলা হবে', তৃণমূলের দেওয়াল লিখনের জবাব দিল বিজেপি (BJP)।

  


'খেলতে খেলতে তিহাড় গেলে সঙ্গে নিয়ে মেয়ে, বাকিরা সব বসে আছে তোমার দিকে চেয়ে'


মঙ্গলবার দুবরাজপুরের হেতমপুরের যে দেওয়ালে তৃণমূল, 'তিহাড় বসেই খেলা হবে', হুঁশিয়ারি দিয়ে ছিল, বুধবার সেই দেওয়ালেই দেওয়াল লিখন করে পাল্টা জবাব দিল বিজেপি। ছন্দের আকারে পদ্মশিবির লিখল,'খেলতে খেলতে তিহাড় গেলে সঙ্গে নিয়ে মেয়ে, বাকিরা সব বসে আছে তোমার দিকে চেয়ে। ডাকবে কবে বলো তুমি ডাকবে কবে।'


'তৃণমূল তিহাড় থেকে খেলা হবে বলেছে'


বিজেপির দুবরাজপুর মন্ডল সভাপতি শম্ভুু্নারথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'তৃণমূল তিহাড় থেকে খেলা হবে বলেছে। তাই একা একা তো আর খেলা যায় না। তার জন্য ১১ জন লাগবে। সেটাই বলা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি নেতৃত্ব ইডি সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। কোনও লাভ হবে না। তৃণমূল জিতবে।'


অনুব্রতহীন কেন্দ্রে অতীতে বারবার বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী


লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম থেকে এবার শতাব্দী রায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। গতবছর অনুব্রতহীন এই জেলাতেই ভোটপ্রচারে গিয়ে একাধিকবার ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। পানীয় জল আবাস যোজনার ঘর না পাওয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এদিকে একসময় এই জেলাতেই যার রাজ চলত, সেই অনুব্রত এখন জেলে। শাসকদলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার গ্রেফতারে এযাবৎকালে কম কটাক্ষ হয়নি। যদিও গ্রেফতারের পর তাঁর পাশে দাঁড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও রাজনৈতিক ব্যানারেই ব্রাত্য হওয়া শুরু বলেই চাপান উতোর ওয়াকিবহল মহলে। 


আরও পড়ুন , কলকাতা বিমানবন্দরে দুই বিমানের ডানায় ধাক্কা


কী খবর এখন অনুব্রতর ?


সদ্য গিয়েছে দোল। একটা সময় অনুব্রত মণ্ডলের আশীর্বাদ না নিয়ে দোলই শুরু হত না তৃণমূল কর্মীদের। আর এবার তিহাড়ে থেকেই দোলের দিন কর্মীদের মাঝেই রইলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও সশরীরে নয়, তাঁর ছবিতে আবির দিয়ে প্রণাম করলেন অনুগামীরা। উনিই অভিভাবক বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের একাংশের।