ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: আবাস যোজনায় ফের দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির। নামের তালিকা তুলে দেওয়া হল বিডিও-কে। তদন্তে আশ্বাস বিডিও-এর। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ করে বিডিওর দ্বারস্থ বিজেপি। দুবরাজপুর বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন যে, যাদের পাকাবাড়ি রয়েছে, যাদের চারচাকা গাড়ি রয়েছে, তাদের আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে। তারা প্রথম দফায় টাকাও পেয়েছে। মূলত দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুরি, লোবা পঞ্চায়েত এলাকায়। দুবরাজপুর বিডিও পুরো ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা তাদের পরিবারের লোকজনকে, আত্মীয়দের আবাসন প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। যাদের পাকা বাড়ি, গাড়ি রয়েছে, তারা এই বাড়ি পেয়েছে। এই কথা স্বীকার করেছেন বাড়ি পাওয়া বেশ কিছু উপভোক্তা। এদিকে বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের বক্তব্য, যাদের পাওয়ার কথা তাঁরাই পেয়েছেন।
গতবছরের শেষে আবাস দুর্নীতির কাঠগড়ায় বারংবার উঠেছিল রাজ্যের শাসকদল। তবে শেষমেষ একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, শুরু হয় উলটপূরাণ। পাকা বাড়ি থেকেও যে সকল তৃণমূল নেতা-সদস্যদের নাম উঠেছিল আবাসে, তাঁরা সকলেই ফিরিয়ে দেওয়া শুরু করেন। যদিও তাতেই সবসময় চিড়ে ভেজেনি। ব্যাতিক্রমী ঘটনাও রয়েছে এর মধ্যে। কীকরে ওই প্রাসাদসময় বাড়ি হাঁকালেন তৃণমূল নেতারা ? সেই প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে।
সম্প্রতি বাঁকুড়ায় একটি অভিযোগ সামনে এসেছিল। যেখানে বসবাসের জন্য রয়েছে দোতলা বাড়ি। তবু নাম ছিল আবাস তালিকায়। সমীক্ষা শুরু হতেই বাড়ি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের বালসী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানপুকুর মাঝি পাড়ার এমন ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল এই ঘটনাকে সততা বলে প্রশংসা করলেও বিজেপির কটাক্ষ,' জনরোষে পড়ার ভয়েই এমন কাণ্ড।'
আরও পড়ুন, 'অভয়ার পরিবারের কথায় শুধু সংবাদমাধ্যম গুরুত্ব দেয় ,আর কেউ গুরুত্ব দেয় না..' !
আবাস প্রকল্পের তালিকা নিয়ে এই প্রথম নয়, বহু ক্ষেত্রে দেখা গেছে পাকা বাড়ি থাকার পরেও শুধুমাত্র শাসক দলের নেতা বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে নাম উঠেছে আবাস তালিকায়। বহু ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো ঘটনাও। শুধুমাত্র শাসক দলের ঘনিষ্ঠ না হওয়ায় বসবাসযোগ্য বাড়ি না থাকলেও তালিকায় ঠাঁই হয়নি হতদরিদ্র পরিবারের। এবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের বালসী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল সেই একই ছবি।