ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, বীরভূম: রেলের নবনির্মিত আন্ডারপাসে জল জমার সমস্যা। প্রতিবাদে সাঁইথিয়া-অন্ডাল শাখার (Saithia-Andal Division) কচুজোড় স্টেশনে রেল অবরোধ স্থানীয়দের। অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে অন্ডাল থেকে রামপুরহাটগামী (Rampurhat) লোকাল। বিক্ষোভকারীদের হাতে নিগৃহীত নিত্যযাত্রী। প্রতিবাদ করায় কান ধরে বের করে দেওয়া হয় তরুণীকে।


জল জমার সমস্যার প্রতিবাদে রেল অবরোধ: আজ সকাল ৬টা ৪০-এ কচুজোড় স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। রেললাইনের ওপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতদিন পর্যন্ত রেলের ফটক ছিল। ট্রেন যাওয়ার ফলে দীর্ঘ যানজট তৈরি হত। সম্প্রতি রেলের তরফে আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে জল জমে যাচ্ছে। এই আন্ডারপাস দিয়ে প্রায় ৫০টি গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন বলে দাবি। কিন্তু জল জমার জেরে তাঁরা যাতায়াত করতে পারছেন না। রামপুরহাটগামী (Rampurhat) লোকাল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। অবিলম্বে বন্ধ রেল গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


 


এদিকে থার্ড লাইন ও নন ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য হাওড়া-বর্ধমান মেন ও কর্ড শাখায় বাতিল বহু ট্রেন। সপ্তাহের মাঝে এই কাজের জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের। রেল সূত্রে খবর, রসুলপুর থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত থার্ড লাইন ও নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে। তার জেরে বুধবার থেকে থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মেন শাখায় বর্ধমান থেকে মেমারি পর্যন্ত চলবে না কোনও ট্রেন। হাওড়া-বর্ধমান মেন ও কর্ড শাখা মিলিয়ে বাতিল ৫৮টি মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন। বেশ কিছু ট্রেনকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য রুটে। হাওড়া-বর্ধমান শাখায় প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াত। ট্রেন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা।


রেল সূত্রে খবর, বর্ধমান-হাওড়া মেন শাখায় মেমারি থেকে হাওড়া পর্যন্ত প্রতিদিব ২০ জোড়া লোকাল ট্রেন চলবে। কর্ড লাইনে বর্ধমান থেকে হাওড়া শাখায় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট ও ৮টা ২৫ মিনিটে ছাড়বে দুটি ট্রেন। আবার রাতে হাওড়া থেকে বর্ধমান যাবে দুটি ট্রেন। ২০ জোড়া লোকাল ট্রেন মশাগ্রাম ও হাওড়ার মধ্যে যাতায়াত করবে। শুক্রবার শেষ হবে ইন্টারলকিংয়ের কাজ। শনিবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে রেল সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন: North 24 Parganas News: বিদ্যাধরী নদীর সুইচগেট ভেঙে বিপত্তি, প্লাবিত ধান জমি, ঘর ছাড়া বহু পরিবার