ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বাতাসপুরে (Bataspur Rail Station) রেল স্টেশনের কাছে মালগাড়ির গার্ডের কামরা লাইনচ্যুত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ৫ টা ৩০ নাগাদ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপ লাইনে (Up Line) মালগাড়িটি বোলপুর থেকে রামপুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। বাতাসপুর স্টেশন ঢোকার আগে মাঝের লাইনে যাওয়ার সময় গার্ডের (Train Guard) কামরার চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেন চলাচল সেই ভাবে বিঘ্ন না হলেও মাঝের লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।


গতমাসেই লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটেছিল হাওড়া জেলায়। তবে সেবার মালগাড়ি নয়, লাইনচ্যুত হয়েছিল যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন। হাওড়ার স্টেশনে (Howrah Station) ঢোকার আগে লাইনচ্যুত হয়েছিল আমতা লোকাল (Amta Local Detailed)। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন সেবার যাত্রীরা (Passengers Got Saved)। ওইদিন সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ ১৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত হয়েছিল আমতা লোকালের শেষ থেকে ৩ নম্বর কামরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যাত্রীরা। তবে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।


এই ঘটনার সাময়িক একটা প্রভাব পড়েছিল ট্রেন চলাচলে। ১৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যখন ট্রেনটি ঢুকছিল, তখনই ঘটনাটি ঘটেছিল। তবে আশার কথা, ওই কামরায় যাঁরা ছিলেন সেই যাত্রীরা কেউ হতাহত হননি। পরে সেই লাইনচ্যুত কামরাটিকে আবার লাইনে তোলা হয়। তার পর ট্রেনটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে ১৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।


আরও পড়ুন, 'দায়ী মমতা', রিষড়াকাণ্ডের পর বিস্ফোরক ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি


তবে ট্রেনটি সরে যাওয়ায় পরিষেবা আবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, কল্যাণী থেকে নৈহাটি স্টেশনের মধ্যে থার্ড লাইন তৈরি ও স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থার কাজ চলায় ট্রেন পরিষেবা ধাক্কা খেয়েছিল একাংশে। কাজ শেষ না হওয়ায় শিয়ালদা মেন লাইনে পাওয়ার ব্লক চলছিল। যার জেরে বাতিল করা হয়েছিল বেশ কয়েক জোড়া লোকাল ট্রেন।


কল্যাণী থেকে নৈহাটি স্টেশনের মধ্যে তৈরি হচ্ছিল তৃতীয় লাইন। কাজ হচ্ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থার। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে একাংশের কাজ। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বাকি কাজ শেষ করার জন্য শিয়ালদা মেন লাইনে পাওয়ার ব্লকের কথা ছিল ২০ তারিখ পর্যন্ত। এই কাজের জন্য প্রতিদিন বাতিল করা হচ্ছিল ২৫ জোড়া ট্রেন। শুধু লোকাল ট্রেন নয়, কোপ পড়েছিল মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেনও। যার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছিলেন যাত্রীরা।