কলকাতা : রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ড (Rampurhat Bogtui Massacre) নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। আজ দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাচ্ছে বগটুইয়ে, এদিকে এরই মধ্যে আজ এই ইস্যুতে বিধানসভায় সরব হল গেরুয়া শিবির। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে চলল বিক্ষোভ। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভের মধ্যেই সভার কাজ চালিয়ে যান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষোভের মধ্যেই চলে স্বাস্থ্য বাজেট নিয়ে আলোচনা। পরেও একপ্রস্থ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই ইস্যুতে বিধানসভায় স্লোগান তুলে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা- "পুড়িয়ে মারার সরকার, আর নেই দরকার", "পুলিশমন্ত্রী তোমায় জানাই ধিক্কার", "মুখ্যমন্ত্রী হায় হায়"-ইত্যাদি স্লোগান তোলেন।


রামপুরহাটের (Rampurhat Fire) বগটুই গ্রামে ভয়ঙ্কর হত্যালীলা। তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের পর, একের পর এক বাড়িতে আগুন। জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশু-মহিলা সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বীভৎস এই ঘটনার পর, প্রশ্ন উঠছে, কী করে আগুন লাগল? পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে কি আটজনকে খুন করা হয়েছে? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ যে FIR করেছে, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে, আগুন লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। রামপুরহাটকাণ্ডে FIR’এ যে ধারাগুলি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, খুন, আগুন লাগনো, আগুন লাগিয়ে হত্যা, মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা। এছাড়াও, হিংসা ছড়ানোর ধারাতেও FIR করা হয়েছে। যে বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।  পরে, বগটুই গ্রামের আগুনে পোড়া অন্য বাড়ি থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার SIT’এর প্রধান ADG-CID জ্ঞানবন্ত সিংহ বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্য সদস্য ও তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।


আরও পড়ুন ; আজ বগটুই গ্রামে যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল


এই ঘটনার বিষয়ে জানতে আজ বগটুই গ্রামে যাচ্ছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় দল। ৫ সদস্যের দলে উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) প্রাক্তন ডিজি ও রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ও সাংসদ সত্যপাল সিং, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও রাজ্যসভার সাংসদ কে সি রামমূর্তি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) ও প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh) থাকছেন। 


এদিকে রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এখানেই বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ নামবে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। উপস্থিত থাকবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। সূত্রের খবর, হেলিপ্যাড থেকে ২ কিলোমিটার দূরে সার্কিট হাউসে পৌঁছে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বগটুই গ্রাম। সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আহতদের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। গতকালই তাঁদের আইসিইউ থেকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।