আবির ইসলাম এবং পার্থপ্রতিম ঘোষ, বগটুই: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বাড়িতে আগুন ও হত্যাকাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এ নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১। ধৃতের নাম শেখ মফিজুল। ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে সিট। 


খুনের দিন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ কাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সম্প্রতি তিনি কোনও ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন কিনা, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।           


এদিকে, রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেল পুলিশ। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে ৮ জনকে। আগুন লাগানোর আগে আঘাতও করা হয়েছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশকে।খবর হাসপাতাল সূত্রে। 


আরও পড়ুন, দূর সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয়ে মৃতদেহ সৎকার! বগটুইকাণ্ডে মৃতদের শেষকৃত্য ঘিরে বিতর্ক


এদিকে,বগটুইকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল টিভিতে বিস্ফোরণের জেরে, আগুন ছড়ানোর তত্ত্ব খাড়া করলেও, প্রত্যক্ষদর্শীদের গলায় শোনা গেছে অন্য সুর। তাদের দাবি, সোমবার বেছে বেছে বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়েও দেখা গেছে, পরপর বাড়িতে আগুন লাগেনি। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে আগুন ছড়ালে পরপর বাড়ি পুড়ে যাওয়ার কথা।  কিন্তু, ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, তেমনটা হয়নি। 


আবার এক জায়গায় একটা পোড়া বাড়ি থেকে দেড়শো মিটার দূরে আবার কয়েকটা বাড়ি পুড়ে গেছে।  এক বাড়ি থেকে আগুন ছড়ালে সেটা কীভাবে সম্ভব? তাহলে কি বেছে বেছে বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল? বুধবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বগটুই গ্রামে গিয়ে, পোড়া বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। বগটুইকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে গ্রামে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ৩০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ছাড়াও গ্রামের প্রতিটি কোণায় সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।


অন্যদিকে, রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এখানেই বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ নামবে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। উপস্থিত থাকবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। হেলিপ্যাড থেকে ২ কিলোমিটার দূরে সার্কিট হাউসে পৌঁছে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বগটুই গ্রাম।সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আহতদের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। গতকালই তাঁদের আইসিইউ থেকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।