রামপুরহাট: রামপুরহাটকাণ্ডে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে তৃণমূল নেতা আনারুল। থানা থেকে আনা হল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে। আনারুল সহ ৪ জনকে সিবিআই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ। আনারুল ও আজাদ চৌধুরীকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ। ভাদু শেখ খুনের পর আনারুল-আজাদের ফোনে কথা হয় বলে অভিযোগ।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আজ থেকে বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করবে সিবিআই। তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে ঘটনার রাতের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, গ্রামবাসীদের ওই ফুটেজ দেখিয়ে দুষ্কৃতীদের শনাক্তকরণের চেষ্টা হবে। এর পাশাপাশি, আজ থেকে বয়ান রেকর্ড করতে শুরু করে সিবিআই। প্রথমে তারা যায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি এক নাবালক ও তিন মহিলা-সহ ৪ জন। সিবিআই সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে ৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের ভূমিকা কী ছিল তাও জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা। এরপর সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে যাওয়ার সম্ভাবনা সিবিআইয়ের। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন মিহিলাল শেখ-সহ স্বজনহারা বেশ কয়েকটি পরিবার।তাঁদের বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই। ওই রাতে কী ঘটেছিল? এবং আনারুলের ভূমিকা কী ছিল? তা জানতে চাওয়া হবে। খবর সিবিআই সূত্রে।
এদিকে, গতকালের পর আজ ফের বগটুইয়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। প্রথমেই গেল ৭ দগ্ধ দেহ মেলা বানিরুল শেখের বাড়িতে। সংগ্রহ করছে নমুনা। উদ্ধার হামলার অস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি পোড়া বাইকও।
অন্যদিকে, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রামপুরহাটকাণ্ডে ২ সন্তান হারানো জহুরা বিবি। সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে তাঁর বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছে জামাই মিহিলাল শেখ। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে গেলেন চিকিৎসক।
পাশাপাশি, রামপুরহাটকাণ্ডে তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের জন্য এবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাঠানো হল এক প্ল্যাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীতে থাকছেন ৩৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান। সূত্রের খবর, রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের সঙ্গেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের জন্য আলাদা ব্যারাক তৈরি করা হচ্ছে।