অর্ণব মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বগটুইকাণ্ডে মৃতদের শেষকৃত্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মৃতদের পরিবারের দাবি, দূর সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কেউ মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। যাঁকে তাঁরা চেনেন না। তাহলে কি কিছু আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যদিও, তা মানতে নারাজ তৃণমূল।                                         

  


অধরা একাধিক উত্তর-বগটুই গ্রামে হত্যালীলা নিয়ে বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। তবে এরইমধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে জীবন্ত মৃতদের তড়িঘড়ি শেষকৃত্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বগটুই গ্রামে যে বাড়িগুলো পুড়ে গেছে, তার মধ্যে একটা বাড়ি মিহিলাল শেখের। মিহিলালের মা, স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক বোন আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। দুই মেয়েকে নিয়ে মিহিলাল সাঁইথিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। 


আরও পড়ুন, 'কাক কাকের মাংস খায়?' বগটুইয়ের ঘটনায় সেলিমের নিশানায় পুলিশ-প্রশাসন


না জানিয়েই মৃতদেহ সৎকার? - কিন্তু, এর মধ্যে রামপুরহাটে তাঁর পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহের শেষকৃত্য সেরে ফেলা হয়েছে। মিহিলালের দাবি, দূর সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি মৃতদেহগুলি সনাক্ত করেছেন। যাঁকে তাঁরা কেউ চেনেনই না। অগ্নিকাণ্ডে মৃতের আত্মীয় থেকে মৃতার মেয়ে সকলেরই একই প্রশ্ন যে, চিনিই না তাঁকে শনাক্ত কীভাবে করব? জানতেই তো পারিনি কখন সৎকার হয়েছে। 


এদিকে, এই দাবি ঘিরেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাহলে কি কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে? রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "পরিবারের মানুষের অনুপস্থিতিতে কীভাবে শেষ কৃত্য! তদন্ত শুরুর আগে সুর বাঁধা হচ্ছে। সবাই ষড়যন্ত্রের তদন্ত তুলছেন। পুলিশ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছেন। সময় যত যাবে, প্রত্যক্ষদর্শীরা সামনে এলে সব তথ্য উঠে আসবে।" সব মিলিয়ে রামপুরহাটের আগুনকান্ডে বিতর্ক তুঙ্গে।