ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম : দেশ জুড়ে রথে (Ratha Yatra 2024 ) জগন্নাথ , বলরাম ও সুভদ্রা অধিষ্ঠিত থাকেন। কিন্তু তারাপীঠে তা সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে রথে চেপে রাজবেশে থাকেন মা তারা।  তারাপীঠের এই রথযাত্রা এককথায় ব্যতিক্রমী। মা তারা রাজবেশে রথে চেপে তারাপীঠ প্রদক্ষিণ করেন। প্রতিবছরই এই রথ যাত্রা দেখতে ভিড় করে হাজার হাজার মানুষ।


রথের দিনের সময় সূচি


 মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের কথায়, 'রথের দিন বিকেল ৩টে নাগাদ মা তারাকে রাজবেশে সাজিয়ে তাঁর রথে চাপানো হবে। সন্ধ্যা ৬টার সময় মন্দিরে ফিরিয়ে এনে দেবীকে স্নান ও সন্ধ্যারতির পর শীতল ভোগ নিবেদন করা হবে।'


তারাপীঠে তারা মা-ই জগন্নাথের প্রতিভূ


তারাপীঠে রথযাত্রার মাহাত্ম্যই আলাদা। সাধারণত জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে রথে অধিষ্ঠান করিয়ে ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। কিন্তু তারাপীঠে তারা মা-ই জগন্নাথের প্রতিভূ। একাধারে তিনিই কালী, অন্যদিকে তিনিই কৃষ্ণ। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ, দুই পর্যায়ের রথেই মা তার অধিষ্ঠিতা হন।


মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধায়ের হাত ধরে উদ্বোধন


তারাপীঠের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, আনুমানিক ১৭৮০ সালে নাটোরের রানি ভবানীর দত্তকপুত্র রাজা রামকৃষ্ণ তারাপীঠে রথের প্রচলন করেছিলেন। পরবর্তীকালে কলকাতার আশালতা সাধুখাঁ নামে এক ভক্ত রথঘর নির্মাণ করেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধায়ের হাত ধরে যার উদ্বোধন।


রথের রশিতে টান দিতে জনসমুদ্র


  সেই সময় কাঠের তৈরি একটি রথে তারা মা-কে বসিয়ে গোটা চণ্ডীপুর গ্রাম (বর্তমানে তারাপীঠ নামে পরিচিত) প্রদক্ষিণ করানো হত। সেই সময় রথের রশিতে টান দিতে স্থানীয় মানুষ ছাড়াও আশপাশের বাসিন্দারাও ভিড় জমাতেন। হরিনাম সংকীর্তন, বিভিন্ন রকমের বাজনা ও জয় তারা ধ্বনি সহযোগে তারা মা-কে রথে চাপিয়ে গ্রাম ঘোরানো হত।


আরও পড়ুন, সরকারি জমিতে TMC-র পার্টি অফিস, শুরু দোতলার কাজ ! 'বুলডোজার অভিযান'-র মাঝে অন্য ছবি বারাসাতে


রথযাত্রা রবিবার হওয়ায় তারাপীঠে ভিড় কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশা করছে মন্দির কমিটি


তবে সময় যত গড়িয়েছে, তারা মায়ের রথের মাহাত্ম্য ততই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এবছর রথযাত্রা রবিবার হওয়ায় তারাপীঠে ভিড় কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশা করছে মন্দির কমিটি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।