ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বোলপুর (Bolpur) থেকে হারিয়ে (Missing) গিয়েছিল ২টি শিশু। সঙ্গে ছিল তাদের মাও। অবশেষে ৩ জনকেই উদ্ধার (Rescue) করা গেল। বর্ধমান (Burdwan) থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তাদের। শিশু (Kid) দুটোর মায়ের ফোনের গতিপথ নির্ধারণ করে অবশেষে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২রা অক্টোবর  শিশু দুটির মা বোলপুরের সুরশ্রীপল্লী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সে বর্ধমানে থাকছিল। গত ৮ তারিখ শিশু দুটির মা বোলপুরে আসে এবং বাচ্চা দুটিকে নিয়ে বর্ধমান চলে যায়। বোলপুর থানার পুলিশ শিশু দুটির বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমানে গিয়ে রবিবার রাতে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে। তাদের বোলপুর ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা করেছিল সেই মহিলা, তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ।


এদিকে, হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নিখোঁজ নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তুলকালাম। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বকে মৃত নাবালিকার বাড়িতে যেতে বাধা স্থানীয়দের। কংগ্রেস নেতাদের রীতিমতো তাড়া করেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, মৃত্যু নিয়ে তাঁরা রাজনীতি চান না। কুত্সার রাজনীতি চায় না মানুষ, আক্রমণ তৃণমূলের। কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। পাশাপাশি, এদিন জাঙ্গিপাড়া থানায় যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের।


হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নিখোঁজ নাবালিকার রহস্যমৃত্যু: অন্যদিকে, মৃত নাবালিকার পরিবারের দাবি, দশমীর দিন সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল ১২ বছরের বালিকা। দেহ উদ্ধার হলেও তার সাইকেলের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে তথ্য প্রমাণের জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে আশপাশের জলাশয়ে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ সাইকেলের চালাচ্ছে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ। ড্রোন উড়িয়েও চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে নাবালিকার মৃত্যুর কারণ।


এদিন দেহ উদ্ধারের ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলে প্রথমে যান কংগ্রেসের নেতৃত্ব। কিন্তু নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার আগেই তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। রীতিমতো তেড়ে যান তাঁরা। স্থানীয়দের সাফ কথা, এই মৃত্যু নিয়ে কোনওরকম রাজনীতি চান না তাঁরা। বাধার মুখে শেষপর্যন্ত পড়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব চলে যান। এক গ্রামবাসীর কথায়, "আমরা কোনও রাজনীতি চাই না। এসপি এই কেসের দায়িত্ব নিয়েছেন। উনিই দেখছেন।''