কলকাতা: 'মাধ্যমিকের মধ্যে ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করলে পরীক্ষায় প্রভাব পড়তে পারে', নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ-মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu)। 'এখন এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2023) মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত', মন্তব্য বিচারপতি বসুর। '২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে', পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
এদিকে, ইতিমধ্যে ৯৫২ জনের বিকৃত ওএমআর শিট (Tampered OMR Sheet) উদ্ধার করেছে সিবিআই (CBI)। সেই ওএমআর শিট নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে এসএসসি (SSC)। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। পাশাপাশি ৬১৮ জনের চাকরি বাতিলের সম্ভাব্য তালিকাও প্রকাশ করেছে এসএসসি।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ মেনে 'ভুল' সুপারিশ খুঁজে তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি (School Service Commission)। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভময় ভুঁইয়া-সহ ১৯৩ জন প্রার্থী। ২০১৬-র এসএলএসটি-র প্রেক্ষিতে নিয়োগ নিয়ে এমন অভিযোগ ওঠে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরেও কারচুপি করার অভিযোগ ওঠে। বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ নিয়ে ২১ জনের তালিকা পেশ করেছিলেন মামলাকারী। সেই সময় বিচারপতি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, তাই প্যানেল বাতিল করছি না। না হলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দিতাম।'
এর আগে হাইকোর্টে সিবিআই দাবি করেছিল অনেকেই সাদা খাতা জমা দিলেও, SSC-র সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও ৫৩। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, ৯৫২ জন চাকরিপ্রাপকের একাংশের মামলাকারী জয়দীপ কর আদালতে সওয়াল করেন, যে ৯৫২টি OMR শিট নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটা আসল OMR শিট নয়। আদতে আসল OMR শিটের একটি প্রতিচ্ছবি। আইন অনুযায়ী কোনও আবেদনকারী বা কমিশনের তরফ থেকে কোনও ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে যে কোনও সময় সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করতে পারে কমিশন।
এদিকে, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে ইতিমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ালেন এসএসসি গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জন অযোগ্য প্রার্থী। জানানো হয়েছে, সেই জায়গায় নিয়োগ করা হবে, ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৪৪ জনের চাকরি পাওয়ার তালিকাও প্রকাশ করেছে এসএসসি। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে যে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরে শ্রমদানের প্রেক্ষিতে বেতন না ফেরানোর দাবিতে মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর হচ্ছে ভাইরাসের থাবা, এরই মধ্যে কলকাতায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু আরও ২ শিশুর
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI