ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রকাশ সিনহা, বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) বিরুদ্ধে আনা খুনের চেষ্টার অভিযোগের ৪ দিন পর শিবঠাকুর মণ্ডলের (shiv thakur mondal) গোপন জবানবন্দি (secreta testimony) রেকর্ড করা হল। দুবরাজপুর আদালতে (dubrajpur court) গোপন জবানবন্দি দিলেন শিবঠাকুর। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশের হেফাজত হয়েছে বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতির।আর সেই কারণেই আপাতত তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। যদিও খুনের চেষ্টার অভিযোগের ৪ দিন পরেও শিবঠাকুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ। তবে শোনা যাচ্ছে, তিনি বয়ান বদল করেছেন।
বয়ান বদল...
কবে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল? ঘটনার সময় নিয়ে নিজের বয়ানই বদল করলেন অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী, তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডল। তাঁর দাবি, টেনশনে হাত কাঁপায় পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে ওই বছরের পরিবর্তে এই বছর লিখে ফেলেছিলেন। ঘটনা ঘটেছিল একুশের বিধানসভা ভোটের আগে। থানায় তাঁকে শুধু সই করতে ডাকা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন শিবঠাকুর। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, বিজেপির চক্রান্তেই ভুয়ো অভিযোগের তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে। গতকাল দীপক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি শিবঠাকুরের কাকা বলে নিজের পরিচয় দিলেও, আত্মীয়তা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান। উল্টে তাঁর অভিযোগ, ২-৩ বছর আগে দীপক তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেন। দেড়লক্ষ টাকা শোধ করলেও, এখনও সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। সেই কারণেই বিজেপির পরামর্শে মিথ্যা অভিযোগ করছেন দীপক। এমনই দাবি করেছেন শিবঠাকুর। অনুব্রতর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সহ সভাপতিও মুখ ফস্কে মন্তব্য করে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন শিবঠাকুর মণ্ডল।
আর কী?
এদিকে এই খুনের মামলায় যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠাল ইডি। তবে কি পাল্টা পদক্ষেপ করার তোড়জোড় করছে তারা?বস্তুত, খুনের চেষ্টার মামলায় বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতির পুলিশি হেফাজত হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, এবার কী করবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা? কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, আদালতের নির্দেশের ৭২ ঘণ্টা পরই দুবরাজপুর কোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। এবং এদিনই কোর্টে ইডির তরফে একটি আবেদন জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই মামলার সমস্ত নথি এবং কোর্টের নির্দেশনামার সার্টিফায়েড কপি চাওয়া হয় তাতে। অর্থাৎ আইনি পথেই হাঁটতে চাইছেন আধিকারিকরা, ইঙ্গিত এমনই।