আবীর ইসলাম, শান্তিনিকেতন : শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা(Poushmela) হবে কি না তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের হোটেল ব্যবসায়(Hotel Business) ৷ মূলত, পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করেই এই এলাকায় হোটেল-লজের ব্যবসা চলে ৷ এক কথায়, পৌষমেলার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল বোলপুর-শান্তিনিকেতনের অর্থনীতি।


উল্লেখ্য, প্রতি বছর পৌষমেলার সময় দুই থেকে তিন দিনের প্যাকেজ হিসাবে হোটেল ভাড়া পাওয়া যায় ৷ সারা বছরের থেকে দর থাকে বেশি ৷ ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল মেলা ৷ এবারও ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা নিয়ে সংশয়, তাই হোটেল-লজের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে ৷ 


এখনও পর্যন্ত বহু হোটেল-লজে রিসর্টের রুম ফাঁকা । রুম বুকিং করছেন অনেকই, কিন্তু ভাড়া বেশি শুনে বাতিল হয়ে যাচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে নিত্যদিনের যে ভাড়া সেই ভাড়াতেই রুম দিতে হচ্ছে । 


আরও পড়ুন ; বোলপুরে বিকল্প পৌষমেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে, নিরাপত্তা নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক শেষ


ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার সময় রুম পিছু তিনদিনের রেট থাকে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে এক ধাপে অনেকটাই ভাড়া কমেছে । শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব(Basanta Utsav) বন্ধের পর করোনা অতিমারীর ফলে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল সমস্ত হোটেল লজ রিসোর্ট। কিছুটা স্বাভাবিক হলে হোটেল মালিকরা আশাবাদী ছিলেন, পৌষমেলায় সেই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে । কিন্তু, কোথায় কী ! 


শান্তিনিকেতন ও বোলপুরে কমবেশি প্রায় ১৫০ টি হোটেল রিসোর্ট রয়েছে । এছাড়াও বহু হোটেল রিসোর্ট গড়ে উঠেছে । বোলপুর হোটেল ইউনিয়ন সমিতির সেক্রেটারি জানান, পৌষমেলার সময় ভালই ব্যবসা হত। কিন্তু, মেলার সংশয়ে অনেক রুম বাতিল হচ্ছে । এতদিনের যে ভাড়া সেই ভাড়াই নিতে হচ্ছে। চরম একটা ক্ষতির মুখে আমরা চাই, মেলা হোক। তাতে ভাল হয় । 


পর্যটকদের বক্তব্য, শান্তিনিকেতন এবং বোলপুরের পৌষমেলার সময় হোটেলের যে ভাড়া থাকে তাতে কোনওভাবেই আসা সম্ভব হয়ে ওঠে না । এখন কিছুটা কমেছে। ঘুরতে এসেছি।


বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, সোমবার অবধি ছুটিতে রয়েছে। আপাতত কিছু বলতে পারব না।