গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের বিস্ফোরক অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের তৃণমূল অফিসে বসে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায় তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। 'বাঘের মতো বসে আছি শিকারের অপেক্ষায়। বিশ্বভারতী খুললেই বুঝিয়ে দেব', এই হুঁশিয়ারির সুর শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। শনিবার বোলপুরের তৃণমূল অফিসে বসে বিশ্বভারতীতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শাখা খোলার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। সংগঠনের নেত্রী নাম ঘোষণা করেন বিশ্বভারতীতে গবেষণারত মীনাক্ষি ভট্টাচার্যর। 


বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, প্রচুর জঞ্জাল জমেছে।পড়ুয়াদের নিয়ে তা পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেও কটাক্ষ করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এই নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


এদিকে, ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলকে বাহুবলী বলে কটাক্ষ করেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি। পাল্টা জবাব দিয়েছেন অনুব্রতও। তবে উপাচার্য বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


আরও পড়ুন, জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জের! দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা


বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে বিশ্বভারতী চত্বরের বিভিন্ন ভবন থেকে চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললে তাঁরা এখানকার এক বাহুবলীর দ্বারস্থ হন। সেই কারণে নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন উপাচার্য। 


উপাচার্য কারও নাম না করলেও রাজনৈকিক মহলের অনুমান, তিনি ইঙ্গিত করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর উপাচার্যকে ফের বিঁধেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। 


অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ওঁর এত সাহস হয়নি আমার নাম করে বলার। উনি একটি পাগল লোক। নিজের বাড়ির চুরি সামলাতে পারছেন না। যখন বোলপুর ছেড়ে যাবেন, সবকিছু তাঁর বাডি থেকেই উদ্ধার করা হবে।