ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, বীরভূম: দলেরই ব্লক সভাপতিকে নিয়ে একাধিক 'আপত্তিকর পোস্ট'-র অভিযোগে খয়রাশোলের (Khairashol) কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পানকে গ্রেফতার (TMC Panchayat Member Arrested) করল পুলিশ।


কী জানা গেল?
বুধবার রাতে, তাঁকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। আজ তাঁকে দুবরাজপুরে আদালতে তোলার কথা। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের খয়রাশোল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীকে আক্রমণ করে সমাজমাধ্যমে একাধিক ‘আপত্তিকর’ পোস্ট করার অভিযোগ ছিল রাজীবের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে চুড়ান্ত বিতর্কও দেখা দেয়। শেষমেশ, খয়রাশোল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর তরফে গত সোমবার রাতে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। তার পরেই এই গ্রেফতারি। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ভাবে দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের আঁচ অস্বস্তি বাড়াতে পারে শাসক শিবিরের। শুধু বীরভূম নয়, রাজ্যের একাধিক জেলাতেই এই ধরনের ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে। যেমন নদীয়া।


নদীয়ায় তৃণমূলের 'গোষ্ঠীকোন্দল'...
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির ঠিক আগে তেতে ওঠে নদিয়ার কল্যাণী ব্লকের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটাবেলে এলাকা। সেখানে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। শাসকদলের সংখ্যালঘু সেলের সগুনা অঞ্চল সভাপতি জাহাঙ্গীর মন্ডলের অভিযোগ, সগুনা পঞ্চায়েতের ১৮ নং ওয়ার্ডের যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মন্ডল হঠাৎ করে পার্টি অফিসে এসে হামলা চালান। এমনকি বোমাবাজিও করেন। যদিও সাইফুল কোনও অভিযোগই স্বীকার করেননি। বরং তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সগুনা অঞ্চলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় হামলা চলেছে। 
ঘটনার দু'পক্ষের প্রায় দশ জন আহত। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কল্যাণী থানার পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। ঘটনাচক্রে গত কাল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা। দু'পক্ষের মোট চার জন জখম হয় তাতে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।বাঁকুড়ার পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতটি এই মুহূর্তে তৃণমূলের দখলে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে গত কাল অর্থাৎ বুধবার দুপুরে স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের, পঞ্চায়েত প্রধান টুম্পা গরাইয়ের স্বামী দীপক গরাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি কর্মী আকাল গরাইয়ের বিবাদ বাঁধে।। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী লাঠি দিয়ে আকালের মাথায় মারেন। ওই বিজেপি কর্মীর মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাতে, এমনই দাবি। দ্রুত আকালকে উদ্ধার করে বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও তৃণমূলের তরফে এই ধরনের অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি। উল্টে পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বক্তব্য, পতাকা টাঙানোর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। আকাল গরাইয়ের পরিবারের দু'জন অন্যের আম চুরি করছিল। তার প্রতিবাদ করতেই আকাল, পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী ও দেওরকে মারধর করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবী করে বিজেপির হুঁশিয়ারি, পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তারা। দু'পক্ষই বেলিয়াতোড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। 


আরও পড়ুন:ত্বকের যত্নে বছরভর কোন কোন প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন?