নান্টু পাল, বীরভূম: খাস জমির পাট্টা দেওয়ার নামে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। বীরভূমের (Birbhum) মুরারইয়ের ডুমুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। 

  


কী অভিযোগ? 


স্থানীয় সূত্রে বলা হয়েছে, খাস জমির পাট্টা পাইয়ে দিতে ২০-২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ দুই তৃণমূল কর্মী। বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। তৃণমূল মানেই দুর্নীতি, কটাক্ষ বিজেপির। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তদন্তের আশ্বাস বিডিও-র। 


আরও পড়ুন, বন্ধ ব্যান্ডেল-মগরার ট্রেন চলাচল, উপচে পড়ছে ভিড়, বাড়ি ফিরব কী করে, উৎকণ্ঠা


অন্যদিকে, তৃণমূল পরিচালিত নৈহাটি পুরসভায় লক্ষাধিক টাকা দুর্নীতির অভিযোগ। গ্রেফতার পুরসভার তিন কর্মী। শহর জুড়ে পোস্টার সিপিএমের। আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা বিজেপির। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি নকল বিল বানিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নৈহাটি পুরসভার ৩ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


নৈহাটির সিপিএম নেতা মলয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "দেখা যাচ্ছে যারা ভাড়া নিয়েছিল তারা যখন কশন মানি ফেরত দিতে যাচ্ছে, তাদের নামে কোনও এন্ট্রিই নেই। অর্থাৎ পুরো টাকাটাই পুরসভার ফান্ডে না ঢুকে কারোর কারোর পকেটে যাচ্ছে। হিসেব করে দেখা যাচ্ছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকার স্ক্যাম। কিন্তু হিসেব দেখাচ্ছে ১ লাখ টাকার মতো।"               


নৈহাটি পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, দুর্নীতি যারা করেছিল আমরা তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলাম। তারা নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছিল। কাঁচা রশিদ দিয়ে দুর্নীতি। ভূতের মুখে রামনাম শুনতে চাই না। সিপিএম কিচ্ছু করেনি। নৈহাটি পুরসভা দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হলে মানুষ আজ এই উন্নয়নের মুখ দেখতেন না।