ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: মিড-ডে মিলে (Midday meal chaos) সাপের হদিস পাওয়ার পরও কি শিক্ষা নেননি কর্তৃপক্ষ? অভিযোগ, স্কুল পরিদর্শক কমিটি (School Inspection Team) আসার কথা জেনেও বীরভূম জেলার ( primary school of birbhum) এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে গাছের পাতা (tree leaves used) দিয়ে মিড-ডে মিল রান্না করা হচ্ছিল। কিন্তু রান্না করার কথা তো গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে! বিষয়টি সামনে আসায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত,  গত ৯ জানুয়ারি ময়ূরেশ্বরের মন্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই গাছের পাতা দিয়ে রান্নার পরে ডাল থেকে সাপ পাওয়া যায়। ১৬ জন ছাত্রছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে। পরে প্রধান শিক্ষকে স্কুল থেকে ট্রান্সফার করা হয়। 


নতুন কী?
এদিকে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান জানিয়ে দিলেন, এই ধরনের ঘটনা কোনও মতেই বরখাস্ত করা যাবে না। এ দিন শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙ্গা গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। সঙ্গে ছিলেন বোলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শক দীপালক দাস। যেখানে মিড ডে মিল রান্না হচ্ছে, সেখানেই প্রথম যান তাঁরা। গিয়েই চোখ কপালে উঠে যায়। মিড ডে মিল রান্না করা হচ্ছে পাতা দিয়ে! ময়ূরেশ্বরের ঘটনাকে টেনে এনে প্রলয় বলেন, 'এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। কোনও মতেই বরদাস্ত করা যাবে না। কাল থেকে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য গ্যাস বা অন্য কিছু দিয়ে রান্না করতে হবে।' আশপাশের নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।  স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন স্কুল পরিদর্শক । পাশাপাশি মিড ডে মিলের যে সামগ্রিক চাল ডাল সেই সভা নিজের হাতে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন স্কুল পরিদর্শক। প্রধান শিক্ষক বলেন, 'আমরা দুঃখিত। সামগ্রী নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। তাই পাতা দিয়ে রান্না করতে হচ্ছে। কাল থেকেই গ্যাস দিয়ে রান্না শুরু করব। এবং স্কুল পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা করছি। '


কী ঘটেছিল?
দিনচারেক আগেই বীরভূমের ময়ূরশ্বরে মিড ডে মিলে সাপ পড়ার ঘটনায় স্কুলে এসেছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই প্রতিনিধি। মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত সোমবার মিড ডে মিল রান্না করার সময় ডালের মধ্যে সাপ পড়ে যায়। খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন। তাদের চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, ফের ৬ পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করে। বমি ও পেটে ব্যথা নিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় তাদের। পরিবারের অভিযোগ সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার জন্যই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই পড়ুয়ারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এর পরই স্কুলে গিয়েছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। তার পর থেকে হইচই রাজ্যজুড়ে। এর মধ্যে আবার নতুন খবর। কেন্দ্র সেই বীরভূম।


আরও পড়ুন:মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারে 'আজাদ কাশ্মীর', তুমুল তোলপাড় রাজ্যে!