বীরভূম: বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুইয়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast), নিশ্চিহ্ন তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্যর বাড়ির একাংশ। ৫০ মিটার দূরে উড়ে গেল টিনের ছাউনি। আওয়াজ শোনা গেল ১৪ কিলোমিটার দূরের বোলপুরেও। সপরিবারে বেপাত্তা তৃণমূল নেতা (TMC Leader)।


পাড়ুইয়ে বোমা বিস্ফোরণ: ঘরের পাকা দেওয়ালের চিহ্নমাত্র নেই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শুধু ইট-কাঠ।অনেকটা দূরে উড়ে গিয়ে পড়েছে ছাউনির দোমড়ানো মোচড়ানো টিন। সকাল পর্যন্ত জ্বলছে আগুন, পুড়ছে খড়। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের বোমা বিস্ফোরণ বীরভূমে। তীব্র আতঙ্ক পাড়ুইয়ের ভেড়ামারি গ্রামে। শুক্রবার তখন, সন্ধে ৭টা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের সাত্তোড় অঞ্চল কমিটির সদস্য শেখ হাফিজুলের বাড়ির একটি ঘরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। শব্দ শুনে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দেখতে পান, বিস্ফোরণের তীব্রতায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতার ঘরের একাংশ। প্রায় ৫০ মিটার দূরে উড়ে গিয়ে পড়েছে টিনের ছাউনি। তৃণমূল নেতার বাড়ির বাকি অংশে একাধিক ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি। ভেঙে গিয়েছে জানালার কাচ। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে।                                                                          

গ্রামবাসীদের দাবি, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ১২-১৪ কিলোমিটার দূরে বোলপুরেও আওয়াজ শোনা গেছে। রাতেই, বোলপুরের SDPO-র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের অনুমান, ঘরটিতে মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণেই এই ঘটনা। ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সাম্প্রতিককালে বীরভূমের পাশাপাশি, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২,মাড়গ্রামে মৃত্যু শিশু। বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মাথাভাঙায় বোমা ফেটে আহত বালক। ১৯ জানুয়ারি ডালখোলায় বোমায় জখম ৩ শিশু। ২ ফেব্রুয়ারি ধুবুলিয়ায় বিস্ফোরণ। ৪  ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামে বোমা ফেটে মৃত্যু।  ২২ ফেব্রুয়ারি মল্লারপুরে বিস্ফোরণে জখম ৪ শিশু। এই সব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে, ফের বিস্ফোরণ বীরভূমে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পর থেকেই সপরিবারে বেপাত্তা তৃণমূল নেতা। কেউ আহত হয়েছেন কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Bankura News: অঙ্কের ক্লাস নিচ্ছেন ভৌতবিজ্ঞান-ইংরেজির শিক্ষিকারা! শূন্যস্থান পূরণ কবে?