ভাস্কর মুখোপাধ্যায়,বীরভূম: বিশ্বভারতীতে নিখোঁজ বিদেশি গবেষক ওড়িশার তালসারির সি বিচ থেকে উদ্ধার। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী থেকে ছাত্র অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার মোট ১২ জন। ধৃত ১২ জনের মধ্যে ৩ জন দুবরাজপুরের, নানুরের ১ জন। দলে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা ৮ জন। অপহরণে ব্যবহার করা হয়েছিল ২টি গাড়ি। উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি গবেষকের মোবাইলও।
প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতন থেকে রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হন বিশ্বভারতীর এক বিদেশি গবেষক। ৫-৬জন যুবক একটু কালো গাড়িতে করে ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। তাহলে কি অপহরণ করা হয়েছে মায়ানমারের ওই ছাত্রকে? কর্তৃপক্ষের দায়ের করা নিখোঁজের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বোলপুর থানার পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই গাড়িতে বিশ্বভারতীর এক বিদেশি পড়ুয়াকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন ৫-৬জন যুবক। শান্তিনিকেতন থেকে রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হন বিশ্বভারতীর বিদেশি গবেষক। তাঁকে কি অপহরণ করা হয়েছে? কর্তৃপক্ষের দায়ের করা ছাত্র নিখোঁজের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বোলপুর থানার পুলিশ।এরপরেই সামনে আসে নিখোঁজ গবেষকের নাম, পান্নাকারা থাই। তিনি মায়ানমারের বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি শান্তিনিকেতনের পশ্চিম গুরুপল্লির একটি ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। ভারতীয় দর্শন নিয়ে গবেষণারত বিশ্বভারতীতে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি কালো গাড়িতে করে ছাত্রর ভাড়াবাড়ির সামনে আসেন ৫-৬জন অচেনা যুবক। বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে যায় গবেষককে। বাড়ির মালিক বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এনিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চায়নি। ভারপ্রাপ্ত জংসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ঘটনায় বোলপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কালো গাড়িটিকে। ঘটনার নেপথ্যে কি টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদ ? সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন? না কি অন্য কোনও ঘটনা? কে বা কারা কেন ওই বিদেশি পড়ুয়াকে তুলে নিয়ে গেল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে।
আরও পড়ুন, বাঁকুড়ায় জলের তোড়ে ডুবল সেতু, ভেসে গেল যাত্রীবাহী ট্রাক্টর
চলতি মাসেই বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপককে শোকজ করেছিল কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করায় অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে 'কারণ দর্শানোর' নোটিস ধরালেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাঁকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বাঙালিকে 'অপমান' করার অভিযোগে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই অধ্যাপক। এর আগে একাধিক বার সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনকী অধ্যাপক পদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। যদিও পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কাজে ফেরাতে বাধ্য হন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।