ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বিশ্বভারতীর ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি কলকাতায়। এরা প্রত্যেকে একটি জাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। যেখানে টাকা রাখলে বড় অঙ্কের সুদ পাওয়া যায় বলে গ্রাহকদের প্রলোভিত করা হয়ে থাকে। প্রথম কয়েক কিস্তি দেওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয় টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয়েছিল বিশ্বভারতীর ছাত্রী অনামিকা সিং-এর৷ শিল্প সদনের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল অনামিকা। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে বিশ্বভারতীর আম্রপালি ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়াশোনা করত সে৷ ছাত্রী নিবাসেই বিষ খেয়েছিল৷ পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল৷ অনামিকা মৃত্যুতে উত্তাল হয়েছিল বিশ্বভারতী৷এই ঘটনায় মৃত ছাত্রী মা-বাবা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অনামিকার একাউন্ট থেকে একাধিক লেনদেন হয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে৷
জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, এই ছাত্রী প্রায় ২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিল। এই টাকার মধ্যে ৯০ হাজার তার নিজের, বাকি টাকা বন্ধুবান্ধব, অধ্যাপকদের কাছ থেকে ধার হিসাবে নিয়েছিল। সেই টাকা সময় মতো ফেরত দিতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে মূল পান্ডাকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের নামে ভুয়ো লেটারপ্যাড বানিয়ে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল নিউটাউন থানার বাসিন্দা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হিলি বর্ডারে আমদানি-রফতানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে শেক্সপিয়ার থানা। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক-ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পরিবহণ সংক্রান্ত লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের প্রভাবশালী মহলে যোগাযোগ থাকার দাবি করে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগে নিউটাউনের ওই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে শেক্সপিয়ার সরণি থানা।
আরও পড়ুন, রাশিয়ায় ভাড়াটে সৈন্য হয়ে আটকে ৮ মাস ! অবশেষে বাড়ি ফিরলেন কালিম্পঙের উর্গেন
পুলিস সূত্রে খবর, লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ২৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে কিছুদিন আগে শেক্সপিয়ার সরণি থানায় অভিযোগ করেন সুদীপ্ত মণ্ডল নামে এক ব্যবসায়ী। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হিলি বর্ডারে আমদানি-রফতানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তি আরও অভিযোগ করেছিলেন। রাজ্য সরকার ও বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে যোগ থাকার দাবি করে তাঁকে ওই প্রলোভন দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কৌশিক সরকার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।