গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বিশ্বভারতীতে আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘর সিল হয়েছিল আগেই। এবার নোটিস দিয়ে বের করে দেওয়া হল জিনিসপত্র। রবীন্দ্র-স্মৃতি-বিজড়িত শতাব্দীপ্রাচীন প্রতিষ্ঠানকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন উপাচার্য, দাবি আলাপিনী মহিলা সমিতির। প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।         


এ বছরের গোড়ায় শান্তিনিকেতনের আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘর সিল করে দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ১০ মাসের মাথায়, পুরোপুরি উচ্ছেদ। নোটিস ধরিয়ে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হল জিনিসপত্র। নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।                   


সম্প্রতি আলাপিনী মহিলা সমিতির কাছে ঘর খালি করার নোটিস আসে। বের করে দেওয়া হয় আসবাব, মূল্যবান নথি। ১০৫ বছরের পুরনো রবীন্দ্র-স্মৃতি-বিজড়িত প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যারা। আলাপিনী মহিলা সমিতির সম্পাদক মণীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এত পুরনো ঐতিহ্যবাহী একটা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলেন উপাচার্য। আমাদের ঘর আগেই বন্ধ করে দেয়। এবার জিনিসপত্র বের করে দিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা পড়ুয়াদের কল্যাণমূলক কাজের জন্য, ১৯১৬ সালে আলাপিনী মহিলা সমিতি তৈরি করেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরে বিশ্বভারতীতে সমিতির ঘরের ব্যবস্থা করেন তত্কালীন উপাচার্য ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী।        


আরও পড়ুন, নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, আচমকাই অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি!


এর আগে এ বছরের জানুয়ারির গোড়ায় সমিতির ঘর সিল করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেইসময় ঘরছাড়া করার প্রতিবাদে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে গাইতে হাতে পোস্টার নিয়ে আনন্দ পাঠশালার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সমিতির সদস্যরা। এবার উচ্ছেদের প্রতিবাদেও তাঁরা সরব হবেন বলে জানিয়েছেন।        


আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যা জয়তী ঘোষ বলেন, এভাবে উচ্ছেদ করায় আমাদের প্রতিবাদ চলবে। যদিও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।