আবির ইসলাম, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) হস্টেল (Hostel) খোলার দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তার আগে একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। যদিও এ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।  


রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে বিশ্বভারতীও খুলে গেছে গত ৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বিশ্বভারতীতে আনন্দ পাঠশালা বা স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তরের পঠনপাঠন শুরু হলেও হস্টেল খোলেনি। পড়ুয়াদের দাবি, এর জন্য তাঁরা চরম অসুবিধেয় পড়েছেন।  


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভঙ্কর হালদার বলেন, আমরা বাইরে থেকে এসেছি। হস্টেল খোলেনি। চরম সমস্যায় পড়েছি। ঘর ভাড়া নিতে গেলে ৫ হাজার টাকা চাইছে। আমাদের পক্ষে এই টাকা দিয়ে ঘরভাড়া নেওয়া সম্ভব নয়। 


এই পরিস্থিতিতে সোমবার অবিলম্বে হস্টেল খোলার দাবিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে বলাকা গেটে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই সময় বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার পিছনের দিক দিয়ে বেরোতে গেলে তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এই অবস্থা দেখে, গাড়ি ঘুরিয়ে দফতরে ফিরে যান রেজিস্ট্রার।     


বিশ্বভারতীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, বাইরে থেকে পড়ুয়ারা আসছে। কিন্তু বিশ্বভারতী হস্টেল খুলছে না। তার প্রতিবাদেই আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।


তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য প্রীতম দাস বলেন, আমাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে যাচ্ছিলাম। কিন্তু রেজিস্ট্রার আমাদের কথা শোনেননি। তিনি ফিরে যান।


এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারির অতীগ ঘোষকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।  


তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে, গতকাল সকালে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে হস্টেল খোলা সহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। প্রায় ১ ঘণ্টা বিক্ষোভের পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন দেয় তারা।