বোলপুর : "আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে"। এমনই অভিযোগ তুললেন বিশ্বভারতীতে (Visvabharati) মৃত ছাত্রের বাবা সঞ্জীব দাস। তিনি সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) দাবি জানিয়েছেন। মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি, প্রকৃত তথ্য সামনে আসুক। ওয়ার্ডেনকে গ্রেফতার করা হোক। সঞ্জীব দাস বলেন, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। সিবিআই তদন্ত হয়ে আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের আসল তথ্য যেন বেরিয়ে আসে।


কী হয়েছে বিশ্বভারতীতে ?


বিশ্বভারতীর পাঠভবনের এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘটেছে। ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। বিশ্বভারতী পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল অসীম দাস। কীভাবে তার মৃত্যু হল, খতিয়ে দেখছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে একবারও উপাচার্য সাক্ষাৎ করেননি বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে উত্তাল বিশ্বভারতী। 


আরও পড়ুন ; সন্তানহারা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার মানবিকতাটুকু নেই! বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কটাক্ষ অনুপমের


শুক্রবার রাতে শববাহী গাড়ি নিয়ে গেটের তালা ভেঙে উপাচার্যর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। শববাহী গাড়িতে ছাত্রের মৃতদেহ নিয়ে চলে তুমুল বিক্ষোভ। মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেননি উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তী। উল্টে তিনি নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন। এরপরই তত্পর হয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। উপাচার্যর বাড়ির সামনে জড়ো হওয়া কয়েকজনকে আটক করা হয়। বাড়ানো হয় বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। মোতায়েন করা হয় পুলিশ। এদিকে, উপাচার্যের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে সরব বিভিন্ন মহল।
 
এর আগে বিশ্বভারতীর হস্টেলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের কীভাবে মৃত্যু হল, এই প্রশ্ন তুলে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে গতকাল তাঁর বাড়ির সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন মৃত ছাত্রের মা-বাবা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন পড়ুয়াদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের একাংশ গেট ভেঙে উপাচার্যের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। প্রথম গেট ভেঙে দেন বিক্ষোভকারীরা। রাজ্যপাল ট্যুইট করে জানান, ঘটনায় আতঙ্কিত উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তী তাঁকে মেসেজ করে বলেন, দয়া করে নিরাপত্তা দিন, আমার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। পুলিশ নিরাপত্তা না দিলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। বিশ্বভারতীর উপাচার্যর বার্তা মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে, বলেও ট্যুইটে জানান রাজ্যপাল। এরপরই ডিজিপি, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যসচিব। ট্যুইট করে জানান রাজ্যপাল।