নান্টু পাল ও আবির ইসলাম: লাল আবিরের রাঙা হল রামপুরহাট পুরসভার (Rampurhat Municipality) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। খুশির হাওয়া পৌঁছলো জেলে। আজই জামিন পাচ্ছেন রামপুরহাটের একমাত্র জয়ী সিপিএম (CPIM) প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক। “জনগণের জয় মানুষের ভালোবাসা।‘’ স্বামীর জেতায় খুশিতে আপ্লুত স্ত্রী। “ভাল সংগঠন করেছে তাই জয়লাভ করেছে।’’ প্রতিক্রিয়া অনুব্রত মণ্ডলের।
রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বীরভূমের কিউবা বলা হয়। সিপিএমের প্রতীক সবসময় এই ওয়ার্ডে জয়ী হয়। যখন যিনি এই ওয়ার্ড থেকে সিপিএমের প্রতীকে দাড়ান তিনি জয়ী হন। ঘরে ঘরে সিপিএমের শক্ত সংগঠন। তবে এবার বুথ দখল হবে হামলা হবে এমন আশঙ্কা ছিল। তেমনই একটি খবর পেয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী ওই বুথে ঢুকলে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় অভিযোগ। পাল্টা সঞ্জীবের বিরুদ্ধে ইভিএম মেশি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ এসে সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিককে গ্রেফতার করে। এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দা ও সিপিএমের নেতারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁদের জেল হেফাজতে নেওয়া হয়।
পুরভোটের পরের দিন অর্থাৎ সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি সঞ্জীবকে কোর্টে তোলার কথা ছিল, কিন্তু সেদিন বনধ থাকায় উপস্থিত ছিলেন না কোনও কৌশলী। ফলে আদালতে তোলা যায়নি। এরপর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় সঞ্জীবের। এদিকে যাঁরা সঞ্জীবের গ্রেফতারির ঘটনায় প্রতিবাদে সামিল হন তাঁদের জামিন হয়ে যায়। এদিন জেলে বসেই জয়ের হাসি হাসেন সঞ্জীব মল্লিক। পরে আদালতে তোলা হয় সঞ্জীবকে। জামিন মঞ্জুর হয় তাঁর। সন্ধে ৭টা নাগাদ জেল থেকে ছাড়া পাবেন সঞ্জীব।
ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ১১১৪, সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ১২৭৬, বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৭। জেল থেকে প্রার্থী জিতলেও এলাকায় আতঙ্ক চরমে। কোনও বিজয় মিছিল দূরের কথা এর পর আরও বড় আক্রমণের ভয় এলাকাবাসীর। সঞ্জীব মল্লিকের স্ত্রী ডালিয়া মল্লিকের কথায়, “এত হামলা চালিয়েছে , তা সত্ত্বেও মানুষের ভালোবাসায় জয়ী আমার স্বামী।’’