ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: বাড়িতে (home) রাখা বোমা (bomb) ফেটে (explosion) গুরুতর জখম (injury) হলেন এক মহিলা (woman)। আপাতত তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ দুপুরে বীরভূমের (birbhum) পাইকর থানার পঞ্চহর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
কী হয়েছিল?
স্থানীয়রা জানিয়েছে, পঞ্চহর গ্রামের বাসিন্দা ইজরাইল সেখের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। এতেই শেষ নয়। বিস্ফোরণের পরও সেখান থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোম উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বোমা ফাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাইকর থানার পুলিশ। তদন্তও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রসঙ্গত, বীরভূমে বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধারের ঘটনা আগেও একাধিকবার শিরোনামে এসেছে। সপ্তাহখানেক আগেই যেমন বোলপুর থানার সিয়ান গ্রামের কাছে এক ব্যক্তিকে এই কারণেই গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩টি কার্তুজ। ধৃতের নাম ছিল শেখ রমজান। গোপন সূত্রে পুলিশ জেনেছিল, এই শেখ রমজান আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করবে। তার পরই জেলার চারটি জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করে তারা। শেষে বোলপুর থানার সিয়ান গ্রামের কাছে বাইকে চেপে যাওয়ার সময় শেখ রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বাড়ি দুবরাজপুরে। পুলিশর দাবি ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি মুঙ্গের থেকে আনা হয়েছিল। এতেই শেষ নয়।
আগেও বহু ঘটনা...
গত এপ্রিলে বীরভূমের পাইকর থেকে ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পাইকর থানার পঞ্চহর গ্রামের কাছে একটি কালভার্টের নিচে তিনটি প্লাস্টিকের বালতি থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে তারা। প্রায় একই সময়ে নানুরের থুপসাড়া গ্রাম থেকে প্রায় ১০০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বাড়ির পিছনের পুকুরপাড়ে তিনটি বালতিতে বোমাগুলি রাখা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে নানুর থানার পুলিশ ওই গ্রামে হানা দিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। এমনকী বগটুইয়ে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের দু-সপ্তাহের মাথায় সেখানেও ড্রামভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছিল। উপ প্রধান খুনে মূল অভিযুক্তের বাড়ির পাশ থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে CID’র বম্ব স্কোয়াড। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, কার্তুজ ইত্যাদি উদ্ধারের ঘটনায় কেন বার বার নাম জড়ায় বীরভূমের? একাধিক ঘটনা সত্ত্বেও কি যথেষ্ট সজাগ নয় প্রশাসন? প্রশ্নগুলি করছেন স্থানীয়রা। উত্তর অবশ্য স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:'হিরনের খোঁচা খেয়ে মালদ্বীপ থেকে ঘাটালে', সফরের আগে বিজেপির পোস্টার