তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বিজেপির পক্ষ থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে গোটা রাজ্যজুড়ে। বিজেপি সূত্রে খবর বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলাতেও নভেম্বর মাস পর্যন্ত এক লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলো রাজ্য বিজেপি। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি তা পূরণ করতে পারেনি। ফের তাঁদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এক লক্ষ সদস্য সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এখনও পর্যন্ত বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৫৬০০০ সদস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করতে পারায় জেলা নেতৃত্ব চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমে মন্ডল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন "যাঁরা বুথের দায়িত্বে আছেন, যারা শক্তি প্রমুখ, যারা মন্ডলের দায়িত্ব আছেন তাঁরা নিজের নিজের অ্য়াকাউন্টে ৫০টি করে মেম্বারশিপ করুন। তা না হলে পরবর্তীকালে কেউ বলবেন না আমি কোনও জায়গা পেলাম না।" সাংসদের এই কথাতে স্বাভাবিকভাবেই পরিষ্কার চরম অস্বস্তিতে রয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বরা।


অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ''বিজেপি পিছিয়ে নেই। গত বছর ২০০০০ সদস্য ছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে এখন ৫৬০০০ সদস্য হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজেপি আমাদের যে টার্গেট দিয়েছে সেখান থেকে পিছিয়ে থাকলেও আমাদের জেলায় এগিয়ে আছি।''


বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ''সারা রাজ্য জুড়ে থ্রেড কালচারের আবহাওয়া চলছে, সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ বিজেপি করতে পারছেন না।'' বিজেপির এই ডামাডোল পরিস্থিতিতে তাদের খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''৫৬ হাজার সদস্য সংগ্রহও হয়নি। বিজেপির কয়েকজন লোকজন আছে তারা তাদের ছেলে বউকেও মেম্বার করতে পারছে না। পরিবারের লোকও রাজি হচ্ছে না সদস্য হতে। তাই মিস কল মেরে ধাপ্পাবাজি চলছে। তৃণমূলের উন্নয়নের সবাই বিশ্বাসী। তৃণমূলের এমন দুর্দিন আসেনি মানুষকে ভয় দেখাতে হবে।''


কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এক মঞ্চে পুলিশ এই ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। এক ভিডিও পোস্ট করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, 'আউশগ্রামের ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি লালন শেখকে সম্বর্ধনা। হাততালি দিচ্ছেন মঞ্চে থাকা পুলিশ অফিসার। এর থেকে আরও একবার স্পষ্ট সরকার ও শাসকের মধ্যে পার্থক্য নেই।' যদিও পাল্টা দাবি আউশগ্রামের ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি লালন শেখের। তিনি বলেন,  'রাজনৈতিক মঞ্চ নয়, খেলার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন পুলিশ আধিকারিক।'