কলকাতা: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা (Expulsion Of Jyotipriya Mallick From Cabinet) থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আসানসোল থেকে বালুরঘাট, বহরমপুর থেকে শিলিগুড়িতে বিজেপির বিক্ষোভ (BJP Agitation) ঘিরে তীব্র আলোড়ন। আসানসোলে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। গির্জা মোড় থেকে হটন রোড পর্যন্ত মিছিল করেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপি কর্মীরা। এরপর আসানসোল বাজারে জিটি রোড অবরোধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ। চল্লিশ মিনিট পর ওঠে অবরোধ।


যা দেখা গেল...
আসানসোলে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় পুলিশ আধিকারিকদের। বহরমপুরেও বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ দেখান দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। সব মিলিয়ে রাজ্যের নানা প্রান্তে বঙ্গ বিজেপির 'চোর ধরো, জেল ভরো' কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার খণ্ডচিত্র উঠে এল বৃহস্পতিবার। রেশন দুর্নীতি মামলায় টানা ২০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ তল্লাশির পর ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে তৃণমূলনেত্রী যে তাঁর মন্ত্রিসভার এই সদস্যের পাশে রয়েছেন, সেটা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন গত কালই। বলেন, "আজ সিপিএম বড় বড় কথা বলছে। আদালত, ED বা CBI-কে নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ে কিছু বলব না আমি। কিন্তু বলে রাখছি, আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল। ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড থাকার অর্থ, সেই রেশন কেউ না কেই তুলতেন! সেই টাকা কোথায় যেত? আজ পর্যন্ত তদন্ত হয়েছে?" তিনি আরও জানান, রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পরই রেশন কার্ড ডিজিটালকরণের কাজ শুরু হয়। মমতা বলেন, "আমরা রেশন কার্ড ডিজিটালকরণ শুরু করি। সেই কাজে সাত-আট বছর সময় লেগেছে। ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করেি আমরা। মানুষের প্রাপ্য রেশন নিয়ে বিক্রি করে দিত দালালরা। আমরাই ধরেছি। গ্রেফতার হয়েছে।' রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা  মনে করাচ্ছেন, মন্ত্রিসভার আর এক প্রাক্তন সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির সময় কিন্তু এতটা স্পষ্ট ভাবে তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি তৃণমূলনেত্রীকে। সে দিক থেকে জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রে তাঁর এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। 


আর যা...
তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের বনমন্ত্রীকে যখন মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর দাবিতে এভাবে আন্দোলন করছে বিজেপি, তখনই নেতাজিনগরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সিএ-র বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সূত্রের খবর, এই সিএ-র মাধ্যমেই এজে অ্যাগ্রোটেক, এজে রয়্যাল অ্যান্ড কোম্পানি পরিচালনা হত। ২টি সংস্থায় রেশন বণ্টন দুর্নীতির কালো টাকা ঢোকার অভিযোগও এনেছে ইডি। শান্তনুকে না পেয়ে গত ২৬ অক্টোবর তাঁর ফ্ল্যাট সিল করা হয়। আজ সেই ফ্ল্যাট খুলেই ফের তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। 


আরও পড়ুন:তৃণমূল রাজ্যসভা সাংসদের ফ্ল্যাটে দুষ্কৃতী 'হামলা', হইচই আলিপুরদুয়ারে