নন্দীগ্রাম : পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‍‍ধ  বিজেপির।   রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই বনধের আঁচ পড়েছে কম বেশি। স্বাভাবিক জনজীবন রুখতে কোথাও রেল লাইন আটকেছে বিজেপি, কোথাও পথে বসেছে তারা। এরই মধ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার গলায় ভিন্ন সুর। 


পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে টেঙ্গুয়াতে পথ অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।  টোটো চালকদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।  নন্দীগ্রাম চণ্ডীপুর রুটে সমস্ত বাস, ট্রেকার বন্ধ রয়েছে।  টেঙ্গুয়াতেই সরকারি বাসকে বাধা দেন বনধ সমর্থকরা। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।  এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। নন্দীগাম -চণ্ডীপুর রাজ্য সড়ক এরপর অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।   

এরই মধ্যে নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ায় এসে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘হঠাত্‍ করে ডাকা বন্‍‍ধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। অনুরোধ করব বেলা ১২টায় প্রত্যাহার করে নিতে। আমি অনুরোধ করব ধর্মঘটিীদের, প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেবেন। আপনারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিন’। 




যদিও এরপর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও, বনধ তুলে নেওয়ার কোনও ঘোষণা বিজেপির তরফ থেকে করা হয়নি। বেলা সাড়ে ১২ টার পরও বিটি রোডে বিজেপি কর্মীদের পথ অবরোধকে ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। টবিন রোডের মুখে পথ অবরোধ করার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী- সমর্থকরা।  পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় অবরোধকারীদের।

হাওড়া থেকে হুগলি, বনধে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে নেমেছে বিজেপি। তবে উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে বিজেপির পথ অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হল পরিস্থিতি।  শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে সফদর হাসমি চকে বসে পড়েন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।  গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর ঘোষ ও মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মনকে।  এরপর তাঁদের শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হলে বিজেপি নেতা কর্মীরা থানার মধ্যে বসেই ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা গান গাইতে শুরু করেন। তালি দিয়ে সঙ্গত করেন বিধায়ক আনন্দময় বর্মন।