পূর্ণেন্দু সিংহ, ওন্দা: বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দায় পথ অবরোধ করলেন বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা। আজ সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ ওন্দার বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অমরনাথ সরকারের নেতৃত্বে রামসাগর এলাকায় ৭ নম্বর জাতীয় সড়কে (National Highway) অবরোধ হয়। প্রায় আধঘণ্টা চলে অবরোধ। ঘটনাস্থলে ছিল পুলিশও। পরে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রাজ্য সরকারও। সকাল থেকে রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই সকাল থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন বনধের জেরে জেলায় জেলায় উত্তেজনা। দিকে দিকে পিকেটিং করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
এদিকে যাদবপুরে বনধ সমর্থক বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় গন্ডগোল হয়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা এইট বি মোড় অবরোধ করতে গেলে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ফের দ্বিতীয় দফায় পথ অবরোধের চেষ্টা হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। হাজরা মোড়ে বিজেপির দফায় দফায় বিক্ষোভ। প্রথমে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় বসতে গেলে পুলিশ তাঁদের তুলে দেয়। ফের দ্বিতীয় দফায় রাস্তা অবরোধ করতে যান বিজেপির মহিলা কর্মীরা। পুলিশ তাঁদেরও সরিয়ে দেয়।
এদিকে, বড়বাজারে সকাল সাড়ে ৯টায় দেখা যায়, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক। দোকানপাটও খোলা রয়েছে। বালিগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। সকাল ৬টা নাগাদ দেখা গেল, অন্যান্য দিনের মতোই ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়। সকাল ৬টা ৪০ নাগাদ রুবি মোড়ে দেখা গেল, সরকারি ও বেসরকারি বাস অন্যান্য দিনের মতোই চলছে। রাস্তায় রয়েছে ট্যাক্সি, অটো। পুলিশ রয়েছে রাস্তায়।
এদিকে গতকাল রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা বলা হয়েছে, সোমবার সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সব অফিস খোলা থাকবে। বন্ধের দিন কর্মীরা না এলে বেতন কাটা হবে ও চাকরি জীবন থেকে এক দিন কাটা যাবে। তবে, কোনও কর্মী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে কিংবা মৃত্যু হলে অথবা ২৫ ফেব্রুয়ারির আগে থেকে ছুটিতে থাকলে বা আগে থেকে মঞ্জুর হওয়া ছুটিতে থাকলে তিনি এই নিয়মের আওতায় পড়বেন না। পরিবহন ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখা হবে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Bangla Bandh Today : কোথাও বন্ধ দোকানপাট, কোথাও আটকানো হল বাস, উত্তরবঙ্গে বনধের হাওয়া