বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: বিজেপি কাউন্সিলরকে (BJP Councilor) ফোন করে গালিগালাজ, খুনের হুমকি (death threat) দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়িতে (siliguri)। দোষীকে খুঁজে বার করতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। অভিযুক্ত গ্রেফতার না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি বিজেপির।
কী ঘটেছিল?
বিজেপি কাউন্সিলরকে ফোন করে খুনের হুমকির অভিযোগে তোলপাড় শিলিগুড়িতে! দোষীকে খুঁজে বার করতে পুলিশকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন বিজেপি বিধায়ক! অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শালিনী ডালমিয়ার মোবাইল ফোনে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। গালিগালাজের পাশাপাশি দেওয়া হয় খুনের হুমকিও। তারপর হোয়াটসঅ্যাপেও একের পর এক টেক্সট ও ভয়েস মেসেজ আসতে থাকে বলে অভিযোগ। শালিনী ডালমিয়ার অবশ্য বক্তব্য, 'কে করেছে জানি না।' এর পরই শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ জানায় বিজেপি। আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বলেন, '২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে না ধরলে আন্দোলন হবে।' কিন্তু গেরুয়া শিবিরের এক কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দিল কে? কারণই বা কী এই হুমকির? আপাতত যে অভিযোগ রুজু হয়েছে, তার ভিত্তিতে পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসায় বহু দলীয় কর্মী ও সমর্থকের উপর অত্যাচার হয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিজেপি।
নারকেলডাঙায় অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি...
গত অগাস্টেই কলকাতার নারকেলডাঙায় এক অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার ঘটনা ঘিরে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। অভিযোগ, ওই ঘটনাতে হুমকি 'অভিজিৎ সরকারের মতো মতো অবস্থা হবে', বলে হুমকি দেওয়া হয়। কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার ছিলেন বিজেপির কার্যকর্তা। ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন অভিজিৎকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে অভিযোগ ওঠে, শ্বাসরোধ করে মাথায় ভারী কিছু আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। বিজেপি অভিযোগ করে, অভিজিৎকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় পরবর্তীতে সিবিআই আধিকারিকরা নিহত অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে গিয়ে তদন্তও করেন। নারকেলডাঙার ঘটনায় সেই অভিজিতের অনুষঙ্গ টেনে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:অস্থায়ী কর্মীদের দাবি মেনে মাসে ২৬ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি, বড় ঘোষণা পরিবহণমন্ত্রীর