কলকাতা: বিধানসভায় বিজেপি-র (BJP) বিক্ষোভ। অ্যাডিনোভাইরাস (Adenoviruses) নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছেও বিবৃতি দাবি করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই আর নতুন করে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য  করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। 


বিজেপি-র অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে


শুক্রবার বিধানসভায় অ্যাডিনো পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রিমার বিবৃতি দাবি করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একের পর এক শিশু যে ভাবে মারা যাচ্ছে, তা নিয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা, যিনি কিনা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগেরও দায়িত্বে রয়েছেন। 


বিধানসভায় এই নিয়ে হইচইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা। তাঁকে অন্তত বিবৃতি দিতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি। কিন্তু চন্দ্রিমা জানান,আগেই এ নিয়ে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি আর নতুন করে কিছু বলবেন না। চন্দ্রিমার এই মন্তব্যে হট্টগোল আরও বেড়ে যায়। কক্ষে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তার পর বাইরে বেরিয়ে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান। 


আরও পড়ুন: SSC Case: কোটি কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন কুন্তল, ইডি-র নজরে ৭৫টি অ্যাকাউন্ট


বিজেপি বিধায়করা জানান, অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে চারিদিকে উদ্বেগ। লাগাতার শিশুমৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরি। অথচ তা না হচ্ছে না। কয়েক দিন আগে যে বিবৃতি দেন তিনি, তা ছিল দায়সারা। পরিস্থিতি আড়াল করতে চেয়েছেন। কোমর্বিডিটিক কথা বলে সরকারের অমানবিক আচরণ আরও প্রকাশিত করেছেন। 


তুঘলকি আচরণ রাজ্যের, মন্তব্য বিজেপি-র


মমতার বিবৃতির দিন বিধানসভায় যদিও ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপি-র তরফে বলা হয়, "তুঘলকি আচরণ করবেন বিধানসভায়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। আর অর্থবিল আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিলে কী ভাবে শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সম্ভব, তা একমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারেন।"


বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত দু'মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জন শিশুর। যদিও সকলের শরীরে অ্যাডিনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি। বেশিরভাগ শিশুই, জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। কারও কারও নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। অ্যাডিনো পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মারা গিয়েছে অনেকে। এমনকি শিশুদের চিকিৎসায় হাসপাতালে অব্যবস্থারও অভিযোগ উঠছে।