বিশ্বজিৎ দাস, কৌশিক গাঁতাইত ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : ফের পুলিশকে (Police) নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তৃণমূলের সঙ্গে পুলিশের একাংশের আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে, দিলেন পুলিশ সুপারের বাড়ি এবং থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।


ফের পুলিশকে নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পুলিশ সুপারের বাড়ি এবং থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিলেন। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের নিশানায় এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। যিনি আগে ছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার। ভারতী ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থাকাকালীন, খড়গপুরের CME-গেট এলাকায় পুলিশ সুপারের (Police) অফিস তৈরি হয়েছিল। ভারতী ঘোষ চলে যাওয়ার পর থেকে বন্ধই ছিল এই অফিস। সম্প্রতি পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সিদ্ধান্ত নেন, মেদিনীপুরের পাশাপাশি খড়গপুরেও তিনি অফিস করবেন। সেই মতো, খড়গপুরের CME-গেট এলাকার এই অফিস ফের চালু করা হয়েছে। সপ্তাহে তিন-চারদিন, দুপুরের পরে, ওই অফিসেই বসছেন পুলিশ সুপার। আর সেই বিষয়টির সঙ্গে খড়গপুরের প্রেমবাজারের সভা থেকে রাজনীতির যোগসূত্রের অভিযোগে পুলিশকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। 


বিজেপি (BJP) সাংসদের আক্রমণ, 'আপনারা শুনেছেন এসপি এসে এখানে থাকবেন। উনি খড়গপুরে না এলে এই খড়গপুর তৃণমূল জিততে পারবে না। সেই ডায়মন্ড হারবার থেকে এসেছেন, ডায়মন্ড হারবার মডেল তিনি তৈরি করেছিলেন সেই এসপি এখানে এসেছেন। খড়গপুরে ৪ দিন থাকবেন, এখানকার লোককে চমকাবেন-ধমকাবেন, রেল কোয়ার্টারে গিয়ে নাম নেওয়া হচ্ছে, কোথাকার লোক কে থাকছে ? কেন থাকছে ? এটা পুলিশের কাজ নয়, এটা RPF-এর রেলের কাজ। তাদের চমকানো হচ্ছে হয় তৃণমূলকে ভোট দে, না হলে বাড়ি থেকে বের করে দেব। কেস করে দেব, শুধু তাই নয়, পুরনো পুরনো কেসে সমন আসতে শুরু করেছে আমাদের লোকদের।'


২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জ্ঞান সিং সোহনপালকে হারিয়ে খড়গপুর সদর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন দিলীপ ঘোষ। ২০১৯-এ দিলীপ ঘোষ যখন মেদিনীপুরের সাংসদ নির্বাচন হত, তখনও খড়গপুর সদর বিধানসভা থেকে ৪৫ হাজার ১৩৩ ভোটের লিড পেয়েছিলেন। পুলিশকে তাঁর আক্রমণ, 'আমাদের কোনও কর্মীর গায়ে যদি পুলিশ হাত দিয়েছে, অ্য়ারেস্ট করেছে, বাড়িতে গেছে, আমি সেদিন থানা ঘেরাও করব, এসপির বাড়িও ঘেরাও করব।'  স্বাভাবিকভাবেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) প্রাক্কালে, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার বলেন, ক্যাম্প অফিস কেন করেছি সেটা আগেই বলেছি। আর, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করব না। দিলীপ ঘোষের পুলিশকে হুমকি দেওয়া নিয়ে যখন রাজনৈতিক তরজা বেধেছে, ঠিক সেই সময় পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের সভায়, তৃণমূলকে হুমকি দিয়ে আরেক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আক্রমণ, 'গুন্ডামি করতে আসেন, গুন্ডামি বিজেপিও করতে জানে। সময় এলে মাটির নিচে ১০০ ফুট পুঁতে দেওয়ার ব্যবস্থা বিজেপি করবে। আমরা করে দেখাব।'


আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, হুঁশিয়ারি, পাল্টা হুঁশিয়ারিতে ক্রমশ তেতে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি।


আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল কবিগুরুর শান্তিনিকেতন, বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তকমা দিল UNESCO


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial