কলকাতা: 'বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। নাড্ডার সফরে কোনও লাভ হবে না। বাংলায়  বিজেপির ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই', নাড্ডাকে এই সুরেই কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ বাড়ার পর, বঙ্গ সফরে এসে আজ নদিয়ায় পৌঁছলেন জে পি নাড্ডা। কলকাতা থেকে কপ্টারে মায়াপুরে গেলেন নাড্ডা। ঘুরে দেখলেন মন্দির চত্বর। গেলেন নির্মীয়মাণ ইসকন মন্দিরেও। এরপর সড়কপথে নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে যাবেন নাড্ডা। সেখানে দলের জন সম্পর্ক যাত্রায় যোগ দেবেন। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে যে ৭টি বিধানসভা রয়েছে, সেখানকার দলীয় নেতা, কর্মীরা এই সভায় থাকবেন। কর্মসূচির শেষে হোটেলে ফিরে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 


মায়াপুরে নাড্ডা: কলকাতা (Kolkata) থেকে হেলিকপ্টারে মায়াপুর যাবেন নাড্ডা। ইস্কনের (ISCON) মন্দির দর্শনের পর সেখানে প্রসাদ খাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এরপর সড়কপথে নদিয়ার (Nadia) বেথুয়াডহরিতে যাবেন। সেখানে দলের জন সম্পর্ক যাত্রায় যোগ দেবেন জে পি নাড্ডা। কর্মসূচির শেষে হোটেলে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর মায়াপুর হয়ে কলকাতায় ফিরে আসবেন তিনি।


সদ্য শেষ হওয়া বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এসেছে বাংলার প্রসঙ্গ!! বাংলার বিজেপি কর্মীদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর ২০২৪'এর জুন পর্যন্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ বৃদ্ধির পর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা বাংলা দিয়েই করছেন জে পি নাড্ডা।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এরাজ্যে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির।  


আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি? তাহলে কি এই সফর দিয়ে পঞ্চায়েতের পাশাপাশি বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি? বুধবার রাতে নিউটাউনের একটি হোটেলে থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 


রাজ্য় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়, 'কৃষ্ণনগর লোকসভা সফর করবেন। বেথুয়াডহরি রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে জনসভা হবে। শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের কার্যকর্তারা এই সভায় উপস্থিত থাকবেন।'


নাড্ডার বাংলা সফরের ঠিক আগেই, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে এরাজ্য়ের প্রসঙ্গ। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'সুকান্ত মজুমদার রিপোর্টিং করতে উঠলেন। উনি বলতে শুরু করলেন যখন, অস্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রী থামালেন তাঁকে। থামিয়ে আমাদের সবাইকে বললেন, আমি চাই যে সবাই যাঁরা এই রিপোর্টিং শুনছে, তাঁরা একটি কথা মাথায় রেখে যেন এই রিপোর্টিংটা শোনে। উনি বললেন, পশ্চিমবাংলায় অমানবিক অত্যাচার হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের ওপর ইলেকশনের পরে। একসময় মনে করা হয়েছিল, হয়ত সেখানে পার্টি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যতই সাধুবাদ আমরা করি, সেটা যথেষ্ট নয়।'


আরও পড়ুন: বিমানের আপদকালীন দরজা খোলার অভিযোগ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে, কেন্দ্র বলল, 'ভুল করে হয়ে গিয়েছে'