রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: পুরভোটকে (Municipal Municipality) সামনে রেখে, সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বুথস্তর থেকে সংগঠন তুলে ধরার বার্তা দিয়েছে নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূলের (TMC) দাবি, প্রস্তুতি নিলেও বিজেপি পুরভোটে দাগ কাটতে পারবে না।


জলপাইগুড়ি জেলার একমাত্র লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে। বিধানসভা ভোটে জেলার সাতটি আসনের মধ্যে ৪টিতে জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এই প্রেক্ষাপটে পুরভোটকে পাখির চোখ করে ঝাঁপাল বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। আসন্ন পুরভোটকে মাথায় রেখে, সাংসদ (MLA) ও বিধায়কদের (MP) নিয়ে জরুরি বৈঠক করে বিজেপি। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও মালবাজার (Malbazar) পুরসভাকে (Municipality) টার্গেট করে, বিধায়ক-সাংসদদের নিয়ে পুরভোটের জন্য কমিটি তৈরি করল বিজেপি।


জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাড়ি বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। বর্তমান পুরসভার ব্যর্থতা তুলে ধরতে হবে। বুথ স্তর সমস্ত জায়গার কর্মীরা তৈরি পুরভোটের জন্য। ১১ জনের কমিটি হয়েছে। প্রয়োজনে আরএসএসের সাহায্য নেব। জলপাইগুড়ি, মালবাজার আমাদের দখলে আসবে।


জলপাইগুড়ি শহরের তৃণমূলের সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Tapan Banerjee) বলেন, “যতই বিধায়কদের নিয়ে রূপরেখা তৈরি করুক কোনও লাভ নেই। পুরসভায় খাতা খুলতে পারবে না বিজেপি। আমাদের হাতে থাকবে পুরবোর্ড। বিধায়কদের উদ্দাম নাচ দেখেছে লোকে, তারা প্রচারে গেলে মানুষ কি গ্রহণ করবে? এরা  গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’’ বিধানসভা ভোটের নিরিখে জলপাইগুড়ির ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে, ১৬টিতে লিড পায় বিজেপি। ৯টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। অন্যদিকে, মালবাজার পুরসভার ১৫ ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টিতে লিড পায় তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে ছিল ৭টি ওয়ার্ডে। উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভায় ভোট। বাকি পুরসভার ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। 


আরও পড়ুন: West Midnapore News: ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন চাষের জমি, ধান ও আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা